মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন এবং নথি জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। গত এক সপ্তাহে পৃথক দুটি অভিযানে শত শত অবৈধ অভিবাসী আটক এবং বাংলাদেশি পরিচালিত একটি জাল পাসপোর্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ৩৭৭ বাংলাদেশি, ২৩৫ মিয়ানমার নাগরিক, ৭২ নেপালি, ৫৮ ভারতীয় এবং ১৭ ইন্দোনেশিয়ান, এছাড়া অন্যান্য জাতীয়তার ৯ জন। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সি আটককৃতদের স্ক্রিনিংয়ের পর পুত্রজায়াতে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তদন্তের জন্য বুকিত জলিল ও লেংগেং ডিপোতে পাঠানো হয়।
বসরি ওথমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসী পাচার ও চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি নিয়োগকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দিলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পৃথক এক অভিযানে, ইমিগ্রেশন বিভাগ বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিচালিত একটি জাল পাসপোর্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে। মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, তিন সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির পর রাজধানীর জালান লোকে ইউ এবং জালান রাজাক ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে ১৯ থেকে ৪১ বছর বয়সি পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে ১৬টি পাসপোর্ট (৯টি আসল ও সাতটি জাল), ১৩৩টি অসমাপ্ত পাসপোর্ট বুকলেট, জালিয়াতির সরঞ্জাম, ১১টি মোবাইল ফোন, নগদ দুই হাজার ১০০ রিঙ্গিত এবং একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, সিন্ডিকেটটি মূলত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য জাল পাসপোর্ট সরবরাহ করত, যাতে তারা বাধ্যতামূলক মেডিকেল পরীক্ষায় ভুয়া পরিচয়ে অংশ নিতে পারে। প্রতি নথির জন্য নেওয়া হতো ১৫০ থেকে ২৫০ রিঙ্গিত। মাত্র দুই দিনের মধ্যে জাল পাসপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম ছিল এই দল।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং নথি জালিয়াতি দমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।