ইন্দোনেশিয়ায় চলমান বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীরা অর্থমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এর আগে একটি কাউন্সিল ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর এক বছরেরও কম সময়ের শাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দেশটিতে বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির প্রতি উদাসীন থাকার অভিযোগ থেকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন এক ডেলিভারি রাইডার পুলিশি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন। ওই গাড়িটি মোতায়েন করা হয়েছিল আইনপ্রণেতাদের উচ্চ বেতন ও অতিরিক্ত সুবিধার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন ঠেকাতে। এ ঘটনার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি ইন্দোনেশিয়া জাকার্তাসহ বড় শহরগুলোতে অস্থিরতায় জর্জরিত হয়।
পুলিশ প্রধান লিস্টিও সিগিট প্রাবোও জানান, প্রেসিডেন্ট অরাজক কর্মকাণ্ড দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর তাদের নাগরিকদের দূতাবাসের মাধ্যমে সতর্ক করে বলেছে, ভিড় এড়াতে এবং বিক্ষোভস্থল থেকে দূরে থাকতে।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোও জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ডেলিভারি রাইডারের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি তিনি পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী সপ্তাহে চীনে পূর্বনির্ধারিত সামরিক কুচকাওয়াজ সফর বাতিল করেছেন।