২০২৫ সালের আগস্টের শেষভাগে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পরিস্থিতি ঘিরে বাড়ছে বৈশ্বিক উদ্বেগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল আসলেই গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালাবে কি না, নাকি এটি শুধুই রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, সীমান্ত এলাকায় ইতিমধ্যে ভারী অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি গাজায় আবারও বৃহৎ আকারের অভিযান চালানো হয়, তবে লাখো মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে। আগে থেকেই অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের মারাত্মক সংকট রয়েছে। নতুন হামলা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গাজায় শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্রুত যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বান জানিয়েছে।
আরব লীগ ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে “অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টির নকশা” বলে আখ্যায়িত করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েলি সরকারের এই পদক্ষেপ মূলত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ সামলানোর কৌশল হতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়িত হলে গাজা উপত্যকায় নতুন করে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।