শিরোনামঃ
ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডের সিলভার জুবিলি উদযাপন হবে ঢাকায় প্রার্থী ক্যারিকেচার: কোনদিকে নির্বাচন এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা: ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে ‘শান্তিচুক্তি’, যোগ দেয়নি সিটি কলেজ পাকিস্তান-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় আসছে আল্লামা ইকবালের জীবনী ‘ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ, তারা মারপিট করে’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের লেবাননে ইসরাইলি হামলা, নিহত ২ রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন আকুর দায় শোধের পরও ১৩৪ ঘণ্টার অনশন ভেঙে সালাউদ্দিনের অনুরোধে হাসপাতালে তারেক উত্তেজনা ১৩ নভেম্বর ঘিরে, কী বলছে গোয়েন্দা-পুলিশ-র‌্যাব
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা: নতুন করে সামরিক প্রস্তুতি

রেজওয়ান করিম / ৬২ বার
প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আবারও চরমে উঠেছে। কয়েক মাস ধরে টানা সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে। সীমান্তে বিস্ফোরণে সৈন্য হতাহত হওয়ার ঘটনার পর কম্বোডিয়া ঘোষণা দিয়েছে, আগামী বছর থেকে তারা নতুন করে সামরিক বাধ্যতামূলক নিয়োগ (conscription) চালু করবে।

সংঘাতের সূত্রপাত

২০২৫ সালের মে মাসে সীমান্তবর্তী এলাকায় থাই ও কম্বোডিয়ান বাহিনীর মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা বড় আকার ধারণ করে। জুলাইয়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও আগস্টে আবারও বিস্ফোরণে এক থাই সেনা গুরুতর আহত হন।

সামরিক বাধ্যতামূলক নিয়োগ

এই পরিস্থিতির মধ্যেই কম্বোডিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সাল থেকে দেশে বাধ্যতামূলক সামরিক নিয়োগ কার্যকর হবে। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। সরকারের দাবি, সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া

থাইল্যান্ড বলছে, কম্বোডিয়ার সেনারা সীমান্ত চুক্তি বারবার লঙ্ঘন করছে। তারা দাবি করছে, মাইন বিস্ফোরণসহ একাধিক হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছে। থাইল্যান্ড সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

সীমান্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কৃষকরা জমিতে কাজ করতে পারছেন না, অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

উপসংহার

কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সংঘাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। সামরিক প্রস্তুতি ও যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন ইঙ্গিত দিচ্ছে, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি দ্রুত হস্তক্ষেপ না করে, তবে এ সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যাবে।


এ জাতীয় আরো খবর...