মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

কাতারে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬, হামাসের হাইকমান্ড অক্ষত

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬ বার
প্রকাশ: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৬ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ৫ জনই হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। হামলার এই ঘটনা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যখন হামাস দাবি করছে তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব আক্রমণে অক্ষত রয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে কাতারের আবাসিক এলাকায় এই বিমান হামলা চালানো হয়। হামাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি নির্দিষ্ট ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যেখানে আমাদের আলোচনাকারী দলের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন।”

কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় নিহত ৬ জনের মধ্যে একজন কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। হামলায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে নিহতের মোট সংখ্যা নির্দিষ্ট না করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় ৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া এবং পশ্চিম তীরের নেতা জাহের জাবারিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, “এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভঙ্গি।” তারা আরো বলেন, “ইসরায়েল শান্তি স্থাপনের যে কোনো উদ্যোগকে বাধা দিতে চায় এবং নেতানিয়াহুর সরকার এই বিষয়টিতে সম্পূর্ণভাবে অকপট।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল হতে পারে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাস সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, হামাস দাবি করছে যে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী, কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় তাদের পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে।

এ ঘটনার ফলে কাতারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান সংঘাতের প্রেক্ষাপট আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

শেষ পর্যন্ত, কাতারের এই হামলার ঘটনা শুধুমাত্র একটি সামরিক সংঘাত নয়, বরং এটি রাজনৈতিক সংকটের একটি প্রতিফলন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই সংকট সমাধানের জন্য কার্যকরভাবে আলোচনা করা, যাতে ভবিষ্যতে এমন বর্বর হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।


এ জাতীয় আরো খবর...