শিরোনামঃ
ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডের সিলভার জুবিলি উদযাপন হবে ঢাকায় প্রার্থী ক্যারিকেচার: কোনদিকে নির্বাচন এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা: ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে ‘শান্তিচুক্তি’, যোগ দেয়নি সিটি কলেজ পাকিস্তান-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় আসছে আল্লামা ইকবালের জীবনী ‘ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ, তারা মারপিট করে’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের লেবাননে ইসরাইলি হামলা, নিহত ২ রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন আকুর দায় শোধের পরও ১৩৪ ঘণ্টার অনশন ভেঙে সালাউদ্দিনের অনুরোধে হাসপাতালে তারেক উত্তেজনা ১৩ নভেম্বর ঘিরে, কী বলছে গোয়েন্দা-পুলিশ-র‌্যাব
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে আজান

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬২ বার
প্রকাশ: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের টানা হামলায় গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মিনার ও নামাজের স্থানগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদগুলোও। প্রাচীন মসজিদগুলো পাথর ও ধুলোর স্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার প্রায় সব মসজিদই এখন ধ্বংসস্তূপ। তবুও ধ্বংসস্তূপের মাঝেই আজান দিচ্ছেন মোয়াজ্জিনরা, নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা।

দ্য ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছরের যুদ্ধ গাজাকে প্রায় মিনারবিহীন করে দিয়েছে। যেসব মসজিদ একসময় নামাজের আহ্বানে মুখর ছিল, সেগুলো এখন ধূলা আর পাথরের স্তূপে পরিণত। শতাব্দীপ্রাচীন স্থাপত্যের কোনো চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই—যেন ইতিহাসই বোমার নিচে বিলীন হয়ে গেছে।

গাজার শুজাইয়্যা এলাকার ৬২ বছর বয়সী আবু খালেদ আল-নাজ্জার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বলেন, আমার বাবার কণ্ঠস্বর চেনার আগেই আমি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ চিনতাম। পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে নামাজ পড়েছি, আর আজ মসজিদের দরজার পাশের নামাজের গালিচাটাও ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে গেছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকার ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস এবং ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মামলুক ও অটোমান যুগের শতাব্দীপ্রাচীন মসজিদও রয়েছে।

পুরনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ কান্দিল খুঁজছেন কিবলা দেয়ালের পাথর। তিনি বলেন, এই মসজিদ ছিল গাজার প্রাণ। এখন শুধু ধুলা। মনে হচ্ছে তারা শুধু ভবন নয়, আমাদের স্মৃতিও মুছে ফেলতে চায়।

আল-দারাজপাড়ায় একসময় ছিল আল-সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ। তার ধ্বংসাবশেষের সামনে বসে ৭৪ বছর বয়সী উম্মে ওয়ায়েল বললেন, আমি অসুস্থ থাকলেও প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে সূরা আল-কাহফ পড়তাম। এখন যাওয়ার জায়গা নেই। তবু ঘরে বসে আমরা কুরআন পড়ব—আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন, যেখানেই থাকি।


এ জাতীয় আরো খবর...