লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে সচিবালয় থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে সচিবালয় সংলগ্ন জিপিও মোড়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সচিবালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে শুরু হয় উত্তেজনা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে অন্তত ৭৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হয়েছে।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে পুরানা পল্টন ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের দিকে সরে যান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি দলকে স্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, গভীর রাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মানবিক অবস্থান নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভে নামেন এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করেন।