সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

জুলাই ঘোষণাপত্রের নীরব প্রতিবাদ জানাতে কক্সবাজার গিয়েছি: শোকজের জবাবে হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২০ বার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫
হাসনাত আবদুল্লাহ

জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজারে অবকাশযাপন করায় শোকজ করা হয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহকে। আজ (বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে ওই শোকজের জবাব প্রকাশ করেছেন তিনি।

শোকজের জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার স্বাক্ষরিত ৬ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশটি আমি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছি এবং এনসিপির প্রতি আমার অঙ্গীকার ও দায়বোধ থেকেই আমি এই ব্যাখ্যা লিখছি।’

তিনি লেখেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষ জীবন দিয়েছিল নতুন বাংলাদেশের জন্য। এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের আশায়, যেখানে কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না এবং প্রতিটি নাগরিক মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যেই এই সরকার গঠিত হয়েছিল। সরকারের উচিত ছিল এমন একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, যা সেই মানুষগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’

ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় সেই মানুষদের কথা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন। শহিদ পরিবার, আহত এবং নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই মতামত প্রদানের সুযোগ পাননি, এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও পাননি।’

জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজারে অবকাশযাপন করায় শোকজ করা হয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহকে। আজ (বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে ওই শোকজের জবাব প্রকাশ করেছেন তিনি।

শোকজের জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার স্বাক্ষরিত ৬ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশটি আমি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছি এবং এনসিপির প্রতি আমার অঙ্গীকার ও দায়বোধ থেকেই আমি এই ব্যাখ্যা লিখছি।’

তিনি লেখেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষ জীবন দিয়েছিল নতুন বাংলাদেশের জন্য। এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের আশায়, যেখানে কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না এবং প্রতিটি নাগরিক মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যেই এই সরকার গঠিত হয়েছিল। সরকারের উচিত ছিল এমন একটি ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, যা সেই মানুষগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’

ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সময় সেই মানুষদের কথা সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন। শহিদ পরিবার, আহত এবং নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই মতামত প্রদানের সুযোগ পাননি, এমনকি অন্তর্ভুক্তির ন্যূনতম সম্মানটুকুও পাননি।’

তাসনিম জারাকে ঘিরে যে কুৎসা রটানো হয়েছে, তা নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘শুধুমাত্র একজন নারী হওয়ার কারণে তাসনিম জারাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার চালানো হয়। কিছু মিডিয়া তাকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিকর শিরোনাম প্রকাশ করে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতিতে নারীদের নিরুৎসাহিত করা।’

তিনি লেখেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। অভ্যুত্থানের পরও একজন নারীর বিরুদ্ধে এমন হীন আক্রমণ কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

শোকজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টির উচিত ছিল এই গোয়েন্দা সংস্থা ও অসৎ মিডিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। তার পরিবর্তে পার্টি এমন ভাষায় আমাদের বিরুদ্ধে শোকজ প্রকাশ করেছে, যা মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রতত্ত্বকে উসকে দিয়েছে।’

হাসনাত দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে দেয়া শোকজ ‘বিধিবহির্ভূত’। বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে শোকজ করতে হয় গঠনতন্ত্র বা বাই-লজের কোনো নির্দিষ্ট ধারা লঙ্ঘনের কারণে। আমাকে দেয়া শোকজে এমন কিছুর উল্লেখ নেই, কারণ আমি পার্টির কোনো আইন লঙ্ঘন করিনি।’

সবশেষে তিনি লেখেন, ‘আমি এনসিপির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং মনে করি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গণতান্ত্রিক সহনশীলতার মাধ্যমেই আমাদের দল রাজনৈতিকভাবে আরও পরিণত হবে। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যার সুযোগ দেয়ার জন্য।’


এ জাতীয় আরো খবর...