শিরোনামঃ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন ফরিদপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক, মহাসড়কের প্রহরায় আনসার-পুলিশ খুনি হাসিনার এমন বিচার হবে, পৃথিবীর সব স্ট্যান্ডার্ড আইন তা মেনে নেবে: সারজিস আলম ইসরায়েলের বিপরীতে ইসলামি দেশগুলোর সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের আল-আকসার ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ পরিদর্শনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নেতানিয়াহু কাতারে হামলা: গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের স্বদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩ গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় শ্রমিকের প্রাণহানি, আহত ৩
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস: প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬১ বার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

জুলাই আমাদের পুনর্জন্মের মাস, এটি শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়—মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এখনও আমাদের সামনে সুযোগ আছে। জুলাইয়ের শিক্ষা এখনও তাজা আছে। মাঝেমধ্যে ভয় হয়, আমরা যেনো এই শিক্ষা ভুলে না যাই।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু উপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়, গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের জাতির ভেতরে এমন কিছু রয়ে গেছে— যত শাস্তিই দিই, সেটার বীজ বোধহয় রয়েই যায়। সেই বীজ থেকে মুক্তি লাগবে। তাই কাগজে-কলমে সংস্কার নয়, দরকার গভীরতম সংস্কার।

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেনো, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনও নীরবতা দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস করা না যায়।

অন্যদিকে, লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান করা যে, রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।

রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে—উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, এই ঐকমত্য এমন একটি ব্যবস্থাকে নিশ্চিৎ করবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে। আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।


এ জাতীয় আরো খবর...