গাজীপুরের শ্রীপুরে অ্যাগ্রিমেন্ট (চুক্তি) বকেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আরএকে সিরামিক নামের কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়েছে বিভিন্ন অফিসগামী যাত্রীরা। এ সময় শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকেরা। পরে ৯টার দিকে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বেতনের সঙ্গে ইনক্রিমেন্ট ১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ তা সেপ্টেম্বরে দেওয়ার জন্য নোটিশ টানিয়ে দেয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ইনক্রিমেন্টসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক পদে সঠিক কর্মচারী নিয়োগ, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং যোগ্য পদে অযোগ্য লোক থাকলে অতিদ্রুত অপসারণ ১০ দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯টায় সীমিতভাবে মহাসড়কে যান চলাচল করছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা-পুলিশ, শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তাদের সরাতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।