প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণে ব্যয় অনেক বেশি দেখা গেছে বিগত আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরে।এর নেপথ্য কারণ জানিয়েছেন সড়ক, পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বলেছেন, আশেপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সড়ক নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, এগুলো কমাতে হবে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় ১৮ কিলোমিটার ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহণ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরে এ ধরনের বাইপাস করতে হবে, যাতে বড় শহরকে যানজট থেকে মুক্ত করতে পারি। সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং প্রযুক্তিও পরিবর্তন করতে হবে, যাতে বছর বছর রাস্তা খারাপ না হয়ে যায়। এখানে চীনের ঠিকাদার কাজ করছে।
মাল্টি-লেভেল প্ল্যানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য যে যাতায়াতের মাধ্যম আছে যেমন—নদীপথে যাতায়াত, রেলওয়ে যাতায়াত ও বিমানে যাতায়াত—এগুলোকে অবহেলা করেছি। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এখন উদ্যোগ নিয়েছি। মাল্টি-লেভেল প্ল্যান আমরা করছি। এই প্ল্যানের মধ্যে আমরা সবকিছু একত্রে দেখব—সড়কপথ, রেলপথ ও নদীপথ। যেখানে যেটা উপযুক্ত, সেখানে সেটার উপর জোর দেব।
বক্তব্য শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মঞ্চের বাম পাশে স্থাপিত ফলক উন্মোচন করতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি লাল মখমলের কাপড়ে ঢাকা শ্বেত পাথরে কালো কালি দিয়ে উদ্বোধক হিসেবে তার নিজের নাম লেখা দেখতে পান। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এসময় সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে। তাহলে কেন আমার নাম থাকবে এখানে। এটা ইমিডিয়েটলি চেঞ্জ করতে হবে।’
পরে তিনি টোল প্লাজায় গিয়ে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন এবং নির্ধারিত টোল দিয়ে তিনি সড়ক অতিক্রম করেন। তবে ফলক উন্মোচন করেননি।
এ সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।