শিরোনামঃ
পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার ভিপি নুরের ওপর হামলা: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাশেদ খান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রদায়িক উত্থানের কারণে মবের ঘটনা বাড়ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে: জি এম কাদের
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

নেপালে তুলে নেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫ বার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অবশেষে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হলো নেপাল সরকার। তুলে নেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে নেয়া হয় এ সিদ্ধান্ত।

যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী পৃথিবী সুবা গুরুং জানিয়ছেন, জেন জি’র আন্দোলন ও দাবির জেরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার চালুর বিষয়ে একমত হয়েছেন মন্ত্রীরা।

এর আগে, তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ লেখক। সোমবার সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বালুওয়াতারে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভ সহিংসতায় ১৯ জনের প্রাণহানি ও চার শতাধিক মানুষ আহত হওয়ায়, নৈতিক কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়েছেন রামেশ।

এরও আগে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয় গত ৪ সেপ্টেম্বর। এ সময় থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ ছিল।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি রেভলিউশন’ নাম দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

নেপাল সরকারের ভাষ্যমতে, দেশটিতে কিছু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহারকারীরা ঘৃণা ও গুজব ছড়াচ্ছে, সাইবার অপরাধ করছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে।

গত বুধবার পর্যন্ত এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে নিবন্ধন করার সবশেষ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নেপাল সরকার। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটির টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এর ফলে সরাসরি জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।


এ জাতীয় আরো খবর...