শিরোনামঃ
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার ভিপি নুরের ওপর হামলা: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাশেদ খান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রদায়িক উত্থানের কারণে মবের ঘটনা বাড়ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে: জি এম কাদের জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল, এজিএস ফেরদৌস ও মেঘলা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রতিস্থাপিত অঙ্গ কতদিন কাজ করে?

রেজওয়ান করিম / ২৮ বার
প্রকাশ: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক অদ্ভূত আলোচনায় মেতেছিলেন। তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ।’’ পুতিনের ভাষ্য, ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন বার বার করা গেলে মানুষ আরও তরুণ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি অনন্তকালও বয়স ঠেকানো সম্ভব।’’ কথাটি নিছক রসিকতা মনে হলেও প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন কি সত্যিই মানুষের অমরত্বের চাবিকাঠি হতে পারে?’’

অঙ্গ প্রতিস্থাপন হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে অসুস্থ বা অকার্যকর অঙ্গের জায়গায় দাতার সুস্থ অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি লাখো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। যেমন—গত ৩০ বছরে যুক্তরাজ্যে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

প্রতিস্থাপিত অঙ্গ কতদিন কাজ করবে তা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন:

  • অঙ্গের ধরন: কোন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে তার ওপর এর কার্যকাল নির্ভর করে। যেমন, কিডনি যত দিন কাজ করে, ফুসফুস তত দিন কাজ নাও করতে পারে।
  • দাতার ধরন: অঙ্গটি একজন জীবিত দাতা থেকে নেওয়া হয়েছে, নাকি মৃত দাতা থেকে, এটিও গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, জীবিত দাতার অঙ্গ বেশি দিন কাজ করে।
  • রোগীর স্বাস্থ্য: প্রতিস্থাপনের পর রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য, জীবনযাপন পদ্ধতি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার ওপর অঙ্গের কার্যকারিতা অনেকটা নির্ভরশীল।

বিভিন্ন প্রতিস্থাপিত অঙ্গের আনুমানিক কার্যকাল:

  • কিডনি:
    • জীবিত দাতার কিডনি: ২০-২৫ বছর বা তার বেশি।
    • মৃত দাতার কিডনি: ১৫-২০ বছর।
  • যকৃত (লিভার):
    • যকৃত সাধারণত ২০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে তা আরও বেশি দিন কার্যকর থাকতে পারে।
  • হৃৎপিণ্ড (হার্ট):
    • একটি প্রতিস্থাপিত হৃৎপিণ্ড সাধারণত ১৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
  • ফুসফুস:
    • ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পর এর কার্যকাল তুলনামূলকভাবে কম, প্রায় ১০ বছর।

প্রতিস্থাপনের পর রোগীকে সাধারণত আজীবন কিছু বিশেষ ওষুধ (ইমিউনোস্যাপ্রেসেন্ট) খেতে হয়। এই ওষুধগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দমন করে, যাতে শরীর নতুন অঙ্গটিকে “বহিরাগত” মনে করে আক্রমণ না করে। নিয়মিত ফলো-আপ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য খুবই জরুরি।


এ জাতীয় আরো খবর...