সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক অদ্ভূত আলোচনায় মেতেছিলেন। তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ।’’ পুতিনের ভাষ্য, ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন বার বার করা গেলে মানুষ আরও তরুণ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি অনন্তকালও বয়স ঠেকানো সম্ভব।’’ কথাটি নিছক রসিকতা মনে হলেও প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন কি সত্যিই মানুষের অমরত্বের চাবিকাঠি হতে পারে?’’
অঙ্গ প্রতিস্থাপন হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে অসুস্থ বা অকার্যকর অঙ্গের জায়গায় দাতার সুস্থ অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি লাখো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। যেমন—গত ৩০ বছরে যুক্তরাজ্যে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
প্রতিস্থাপিত অঙ্গ কতদিন কাজ করবে তা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন:
প্রতিস্থাপনের পর রোগীকে সাধারণত আজীবন কিছু বিশেষ ওষুধ (ইমিউনোস্যাপ্রেসেন্ট) খেতে হয়। এই ওষুধগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দমন করে, যাতে শরীর নতুন অঙ্গটিকে “বহিরাগত” মনে করে আক্রমণ না করে। নিয়মিত ফলো-আপ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য খুবই জরুরি।