চীন, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া প্রথমবারের মতো যৌথ সীমান্ত সামরিক মহড়া আয়োজন করছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানায় চীনের সেনাবাহিনী। এই ত্রিপাক্ষিক মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো এই তিন দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং একটি সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের সামরিক প্রভাব বাড়াতে রাশিয়া ও চীন উভয়েই সচেষ্ট। এই প্রেক্ষাপটে, মঙ্গোলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এই যৌথ মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১. সমন্বিত নিরাপত্তা: এই দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতা একীভূত করে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা। ২. সন্ত্রাসবাদ দমন: যৌথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা। ৩. প্রযুক্তিগত বিনিময়: সামরিক প্রযুক্তির আদান-প্রদান এবং রণকৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
এই মহড়াটিকে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাশিয়া ও চীন এ অঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি এবং প্রভাবকে আরও দৃঢ় করতে চাইছে।
মহড়াটি রাশিয়ার দক্ষিণ সাইবেরিয়া অঞ্চলে অবস্থিত উডে আর্মি ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে তিন দেশের কয়েক হাজার সৈন্য, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং সামরিক যান অংশ নিচ্ছে। মহড়ার কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
এই মহড়াটি কেবল সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য নয়, বরং এটি একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণের সূচনাও বটে, যেখানে এই তিন দেশ নিজেদের মধ্যে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলছে।