খাদ্য তালিকায় প্রোটিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মানব দেহের সুস্থতার জন্য পেশি গঠন, হরমোন উৎপাদন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে প্রোটিন। তবে প্রোটিন গ্রহণের সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
প্রোটিন দুই ধরনের উৎস থেকে পাওয়া যায়: প্রাণীজ ও উদ্ভিজ্জ। প্রাণীজ প্রোটিনের উৎসগুলো হলো—ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য। অন্যদিকে, উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎসগুলো হলো—ডাল, ছোলা, শিমের বিচি, বাদাম, সয়াবিন ও বিভিন্ন ধরনের বীজ (যেমন: চিয়া সিড, কুমড়োর বীজ)। সুষম প্রোটিন গ্রহণের জন্য উভয় উৎস থেকেই খাবার গ্রহণ করা উচিত।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দৈনিক কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন, তা নির্ভর করে তার ওজন, বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রার ওপর। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম থেকে ১.০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। যারা নিয়মিত ভারী কাজ বা ব্যায়াম করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এটি কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
সারাদিনের বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন গ্রহণ করা ভালো। সকালের নাশতায় প্রোটিন রাখলে তা দিনের শুরুতে শরীরকে শক্তি জোগায় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারেও প্রোটিন যুক্ত করা উচিত। ব্যায়ামের পর পেশি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রোটিন গ্রহণ করা খুবই কার্যকর।
প্রোটিন গ্রহণের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো মেনে চললে শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকে।