শিরোনামঃ
সেই প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আহত চার নারীর একজনের মৃত্যু গাজায় বোমা বর্ষন বাড়িয়েছে ইসরায়েল, প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফিলিস্তিনিরা সাবেক সার্জেন্ট মেজরের স্বীকারোক্তি: তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে এক নারী সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন চার্লি কার্কের স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি তোমার আদর্শকে কখনো মরতে দেব না’ আবু ধাবির নতুন ওয়েভ পুলে বিলাসিতার দৌড় : প্রত্যেক ঢেউতে $১৫০ পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

বর্ষায় ফিরুক পুরনো দিনের শৈশব, প্রকৃতির স্পর্শে সন্তানের সঙ্গে কী ভাবে কাটাবেন বৃষ্টিভেজা দিন?

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬৫ বার
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

প্রবল বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট এক হয়ে যাওয়া, জাল নিয়ে উপচে পড়া নর্দমায় মাছ ধরা, ভেলা বানিয়ে জমা জলে হুটোপাটি— সে সব তো অতীত। কিন্তু তাতে মিশে থাকা নির্ভেজাল আনন্দের ছোঁয়া থেকে কেন বঞ্চিত থাকবে নতুন প্রজন্ম?

খেলার মাঠ নেই, সঙ্গী নেই, পার্কে নিয়ে যাওয়ার লোক নেই। বহুতলের চৌখুপ্পিতে, টিভি আর মোবাইলের গণ্ডিতেই আটকে শৈশব। শহরের জীবনধারা থেকে যা হারিয়ে যেতে বসেছে, সেই আনন্দই ফিরিয়ে দিতে পারেন সন্তানকে। বৃষ্টিভেজা ছুটির দিনে নির্ভেজাল আনন্দের স্বাদ দিতে দরকার একটু সময় আর তাদের মতো করে ভাবা। এমন দিনে কী ভাবে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন?

বৃষ্টির জলের শিল্প: বৃষ্টিতে হুটোপাটির আনন্দ থেকে বঞ্চিত এই প্রজন্মের অনেকেই। মাঠঘাট নেই। রাস্তার জমা জলে নোংরা। তাই জলে ভেজা শৈশবও হারাতে বসেছে। তবে একফালি বারান্দা থাকলেই উপভোগ করা যাবে বৃষ্টি। সন্তানকে বলতে পারেন পছন্দের কোনও কিছু এঁকে ফেলতে। ব্যবহার করতে বলুন স্কেচপেন। পিজবোর্ড বা একটু মোটা কাগজে মার্কার দিয়ে লিখতে বলুন। তার পর জলের ছাট আসছে এমন স্থানে সেটি রেখে দিন। জলের ছিটেয় আঁকা ছবির রং ধেবড়ে বা ঘেঁটে গিয়ে অন্য রকম নকশা হবে। তৈরি হবে নতুন শিল্প।

হাতকলমে শিখুক: বর্ষার মরসুমে দ্রুত গাছপালা বেড়ে ওঠে। কী ভাবে বীজ থেকে অঙ্কুর বেরোয়, মাটিতে অঙ্কুরিত বীজ পুঁতলে গাছ হয়, এ সব সন্তানকে শেখাতে পারেন হাতে ধরে। একটি কাচের পাত্রে ভিজে কাপড় বা ভিজে কাগজে ছোলা বা মটর বীজ ফেলে দিন। আলো-হাওয়া যুক্ত স্থানে পাত্রটি রেখে দিন। প্রত্যেক দিন তাতে কী বদল আসছে সন্তানকে নিয়ে দেখতে থাকুন। তাকে পরিবর্তনগুলি লিখে রাখতে বলুন। এ ভাবেই বীজ থেকে অঙ্কুর বেরাতে দেখবে খুদে। ভিজে মাটিতে অঙ্কুরিত বীজ ছড়িয়ে দিন। চারা হওয়া, সেটির বেড়ে ওঠা, গাছের যত্ন ধীরে ধীরে প্রত্যক্ষ করবে সন্তান।

কাদামাটি: কাদামাটি মেখে খেলার দিন অতীত। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আকার গড়ে কৃত্রিম রঙিন মাটি দিয়ে। বাড়ি বা আবাসনে যদি একফালি উঠোন থাকে, মাটি নিয়ে খেলায় উৎসাহ দিতে পারেন। ছাদ কিংবা বারান্দাকেও এই কাজে লাগাতে পারেন। বাড়ির পুরনো বাসন দিয়ে তাকে রান্নাঘর বানিয়ে দিন। মাটি দিয়ে লুচি, মিষ্টি বানাতে বলুন তাকে। কাদা হবে ঠিকই, তবে এতে সন্তান আনন্দও পাবে। শুধু মাটি নয়, গাছের পাতা, ফুল নিয়েও সন্তানকে খেলায় উৎসাহ দিতে পারেন। খেলতে খেলতেই গাছগাছালি, ফুল, ফল, পাখি চিনবে সে।

জলযান: কাগজের নৌকা নিয়ে খেলার দিনও হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। সন্তানকে নিয়ে ফিরতে পারেন সেই সব দিনে, যখন কাগজের নৌকা বানিয়ে জলে ভাসানো হত। শুধু কাগজ নয়, পিজবোর্ড, গাছের ছাল বা টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়ে এমন কোনও কিছু বানিয়ে দিন, যা জলে ভাসতে পারে। এগুলি বানানোর সময় বিজ্ঞানের নীতি, কৌশলও খুদেকে সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। তাকে সঙ্গে নিয়েই এমন কোনও কিছু বানাতে পারেন, যা বৃষ্টির জমালে  ভাসবে।

বৃষ্টির শব্দ: বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে পড়ুক বা ঝিরিঝিরি, তারও নিজস্ব ছন্দ এবং শব্দ থাকে। বৃষ্টির শব্দ নিয়েও খুদের সঙ্গে খেলায় নামতে পারেন। বালতিতে জল পড়লে কেমন শব্দ হয়, টিনের পাত্রে কেমন, মাটির হাঁড়িতে জল পড়ার শব্দের তফাত কোথায় খুদে বুঝবে নিজে থেকেই। কোনটার শব্দ কেমন, সে জানবে খেলার ছলেই।


এ জাতীয় আরো খবর...