ইসলামে বৃহস্পতিবার রাত, অর্থাৎ জুমার রাত, বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। এই রাতে বান্দার দোয়া আল্লাহ তাআলা অধিক গ্রহণ করেন। হাদিসে এসেছে—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ, এ রাতে তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।’ (সুনান দারিমি: ২৭৯১)
এ ছাড়া জুমার দিন ও রাতের একটি সময়ে বান্দার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। তাই এই রাত ইবাদত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে কাটানো অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বৃহস্পতিবার রাতের বিশেষ আমলসমূহ—
১. কোরআন তিলাওয়াত: সুরা কাহাফ, সুরা ইয়াসিন পড়া উত্তম। সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পড়া উচিত।
২. দরুদ শরিফ পাঠ: দরুদে ইবরাহিম বা অন্য দরুদ বেশি বেশি পড়তে হবে। অন্তত ১০০ বার দরুদ শরিফ পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
৩. ইস্তিগফার ও তাওবা: পড়তে হবে—‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। লা হাওলা ওয়া কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিইয়িল আজিম।’
৪. জিকির: সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার। আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার। আল্লাহু আকবর ৩৪ বার।
৫. বিশেষ দোয়া: দোয়ায়ে ইউনুস—‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ-জালিমিন।’
সুরা জুমুআর তাৎপর্য, ফজিলত ও অবতীর্ণের প্রেক্ষাপটসুরা জুমুআর তাৎপর্য, ফজিলত ও অবতীর্ণের প্রেক্ষাপট
হাজতের দোয়া—আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা ওয়া রাহমাতিকা ফা-ইন্নাহু লা ইয়ামলিকুহা ইল্লা আনতা
৬. নফল নামাজ: ২ রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে দোয়া করা। রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদ আদায় করা।
৭. দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা: নিজের, পরিবারের এবং পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা। রোগমুক্তি, রিজিকের বরকত ও গুনাহ মাফের দোয়া করা।
জুমার দিন: আত্মশুদ্ধি ও সম্মিলিত চেতনার অনন্য প্রতীকজুমার দিন: আত্মশুদ্ধি ও সম্মিলিত চেতনার অনন্য প্রতীক
পরিশেষে, বৃহস্পতিবার রাতকে ইবাদত, তিলাওয়াত, দরুদ, ইস্তিগফার ও দোয়ায় পরিপূর্ণ করলে আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়। এই রাত হলো দোয়া কবুলের বিশেষ সময়, তাই এটিকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।