বেঁচে থাকতে ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন জুলাই গণ অভ্যুত্থানে রংপুরে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ২ এ সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এই দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “জীবিত অবস্থায় ছেলের চাকরি দেখে যাওয়ার কথা ছিল। তা দেখি নাই। এখন জীবিত অবস্থায় ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।”
মকবুল হোসেন ছাড়াও আজ এনটিভির রংপুর প্রতিনিধি সিনিয়র রিপোর্টার এ কে এম মঈনুল হক এবং ক্যামেরাপারসন আসাদুজ্জামান আরমানের সাক্ষ্য দেন। গতকাল বুধবার এই মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই বিচার শুধু একটা বিচারই নয়, বরং এই রাষ্ট্র ও জাতিকে আগামী দিনে একটা দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য, সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এই বিচারটা যে প্রয়োজন সেই কথাগুলো আমরা আদালতে তুলে ধরেছি।”
গত ছয়ই অগাস্ট আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-২। এর মধ্যে গ্রেফতার থাকা ছয় আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। গত বছরের জুলাইয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলার সময়ে রংপুরে ১৬ই জুলাই আবু সাঈদ নিহত হন।