শিরোনামঃ
সেই প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আহত চার নারীর একজনের মৃত্যু গাজায় বোমা বর্ষন বাড়িয়েছে ইসরায়েল, প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফিলিস্তিনিরা সাবেক সার্জেন্ট মেজরের স্বীকারোক্তি: তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে এক নারী সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন চার্লি কার্কের স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি তোমার আদর্শকে কখনো মরতে দেব না’ আবু ধাবির নতুন ওয়েভ পুলে বিলাসিতার দৌড় : প্রত্যেক ঢেউতে $১৫০ পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

বেসরকারি খাতে যাবে নগদ: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২১ বার
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ‘নগদ’-এর মালিকানা আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এজন্য নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ‌‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫: দ্য ইন্টারসেকশন অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক সম্মেলন আয়োজন করে মাস্টারকার্ড ও ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, পোস্ট অফিসের পক্ষে নগদ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসুক। এরই মধ্যে নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজার কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বেসরকারি খাতে নগদ হস্তান্তর করা যাবে।

তিনি বলেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লক্ষ্য হলো- নগদকে একটি স্থিতিশীল ও সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানো।

নগদকে ঘিরে অতীতে নানান অনিয়ম হয়েছিল মন্তব্য করে গভর্নর বলেন, আগের মালিকানায় ভুয়া সদস্য যোগ করার মতো অনিয়ম হয়েছে। এসব সংশোধন করে প্রতিষ্ঠানটিকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। এখন এটি স্থিতিশীল এবং ক্রমবর্ধমান।

আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, অর্থনীতিতে নগদ টাকার চাহিদা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। প্রতিবছর গড়ে ১০ শতাংশ হারে এই চাহিদা বাড়ছে, যা ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয়ও বাড়াচ্ছে। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা করে নগদ টাকার সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ধীরে ধীরে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে হবে। বেতন থেকে শুরু করে সব খাতে ক্যাশলেস লেনদেন চালু করা জরুরি।

কিউআর কোড ব্যবহারকে জাতীয়ভাবে বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগের কথাও জানান গভর্নর। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- যেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স আছে, সবাইকে কিউআর কোড নিতে হবে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আইন করা হবে। না নিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজ করার কাজ চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে পাঁচটি ক্রেডিট ব্যুরো অনুমোদনের বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে বলে জানান।


এ জাতীয় আরো খবর...