নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ এবং সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার যুবক। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) নেপালের পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে তারা এ বিক্ষোভ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-নেপাল সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে বিক্ষোভকে কেন্দ্র সহিংসতায় ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের পর নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
১৯ জন নিহত হওয়ার পর অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন।
উল্লেখ্য, ভারত-নেপাল সীমান্ত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম রাজ্যের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে অবাধ চলাচলের এই সুবিধা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, প্রতিবেশী দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার প্রয়োজন হয়।
এসএসবি নিশ্চিত করেছে, যেকোনো ধরনের অস্থিরতা ভারতীয় ভূখণ্ডে যাতে প্রবেশ না করতে পারে, সে বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।