শিরোনামঃ
ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডের সিলভার জুবিলি উদযাপন হবে ঢাকায় প্রার্থী ক্যারিকেচার: কোনদিকে নির্বাচন এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা: ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে ‘শান্তিচুক্তি’, যোগ দেয়নি সিটি কলেজ পাকিস্তান-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় আসছে আল্লামা ইকবালের জীবনী ‘ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ, তারা মারপিট করে’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের লেবাননে ইসরাইলি হামলা, নিহত ২ রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন আকুর দায় শোধের পরও ১৩৪ ঘণ্টার অনশন ভেঙে সালাউদ্দিনের অনুরোধে হাসপাতালে তারেক উত্তেজনা ১৩ নভেম্বর ঘিরে, কী বলছে গোয়েন্দা-পুলিশ-র‌্যাব
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক আর নেই

অনলাইন ডেস্ক / ২৫ বার
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক মারা গেছেন। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না এলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছে ৯৬ বছর।

আহমদ রফিকের বিশেষ সহকারী মো. রাসেল তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মৃত ঘোষণা করার সাত মিনিট আগে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।

এর আগে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকবার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’-এর শিকার হন তিনি।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় গত রোববার তাঁকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহমদ রফিক নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের একটি ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া এই ভাষাসৈনিক ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান এবং নিঃসন্তান। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে বিপুলসংখ্যক বই, যা ছাড়া অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য সম্পদ নেই।

ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রাবন্ধিক ইতিহাসবিদ এই লেখক শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার অবদান অনন্য; কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তাকে দেওয়া হয়েছে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।

২০১৯ সাল থেকে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করলে অস্ত্রোপচার করা হলেও ফল আশানুরূপ হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে তিনি প্রায় দৃষ্টিহীন। এর আগেই, ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যেতে থাকে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী মহল আহমদ রফিকের উন্নত চিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর মরদেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে দান করে গেছেন।


এ জাতীয় আরো খবর...