শিরোনামঃ
গাজায় বোমা বর্ষন বাড়িয়েছে ইসরায়েল, প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফিলিস্তিনিরা সাবেক সার্জেন্ট মেজরের স্বীকারোক্তি: তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে এক নারী সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন চার্লি কার্কের স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি তোমার আদর্শকে কখনো মরতে দেব না’ আবু ধাবির নতুন ওয়েভ পুলে বিলাসিতার দৌড় : প্রত্যেক ঢেউতে $১৫০ পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

মহানবী (সা.) আমাদের জন্য বড় উপহার: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৯ বার
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “মহানবী (সা.) সারা বিশ্বের জন্য রহমত, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তাআলা তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহম্মদের (সা.) আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়।”

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, “মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।”

“মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (সা.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার-অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যার আগমন হয়েছিল, তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।”

তিনি বলেন, “আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.) শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মুহম্মদের (সা.) জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।”

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আজ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বিশ্বজগতের এক সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আবির্ভাবের দিন। এই শিশুর শুভাগমন সারা দুনিয়াকে নাড়া দেয়। এই দিনটি নবীজির জীবনে মূল্যবোধ, যেমন: সততা, নম্রতা, উদারতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার দেখানো পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভের এক মহিমান্বিত মুহূর্ত। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

তিনি বলেন, “বিশ্বমানবের নিকট এক অসাধারণ আলোকবর্তিকা, শান্তি-সংগ্রাম-সম্প্রীতির আধার চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ্বস্ত হজরত মুহম্মদ (সা.)। তার কালজয়ী মূল্যবোধ, মানবতা, সহমর্মিতা, উদারতা, মানুষের প্রতি সহানুভুতি মানবজাতির নিকট এক পরম শিক্ষা হয়ে থাকবে। কৈশোরকাল থেকেই তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা, যিনি কোনোদিন আমানতের খেয়ানত করেননি, অন্যের উপকার করা যিনি পরম কর্তব্য বলে মনে করতেন। বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মহানবী (সা.)। পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। কঠোর পরিশ্রমী প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করেও।”

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আল্লাহ তাআলা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কোরআন মহানবীর (সা.) ওপর অবতীর্ণ করেন, যা মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলী অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে। তার জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মুসলিমরা শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠাসহ নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার অনুপ্রেরণা পায়। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরসালিন হজরত মুহম্মদের (সা.) প্রতি সালাম জানাই।”


এ জাতীয় আরো খবর...