শিরোনামঃ
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার ভিপি নুরের ওপর হামলা: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাশেদ খান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রদায়িক উত্থানের কারণে মবের ঘটনা বাড়ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে: জি এম কাদের জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল, এজিএস ফেরদৌস ও মেঘলা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

মামুনের মাথার খুলিতে লেখা ‘হাড় নেই’ চাপ দিবেন না, ৪ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি সায়েমের

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৮ বার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া বর্তমানে কিছুটা সেরে উঠছেন। মাথায় অস্ত্রোপচারের পর তার খুলির অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ব্যান্ডেজে স্পষ্ট করে লেখা আছে “হাড় নেই, চাপ দেবেন না।” চার দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তাকে আইসিইউতে এবং পরে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

অন্যদিকে একই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ মাহমুদ সায়েম চার দিন পার হলেও এখনও জ্ঞান ফিরে পাননি। নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।

পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক জিয়া উদ্দিন জানান, মামুনের জ্ঞান ফিরতে শুরু করেছে এবং তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে পুনরায় খুলিটি বসানো হবে।

তবে সায়েমের পরিস্থিতি এখনও সংকটাপন্ন। জিয়া উদ্দিন বলেন, “তার সাড়া দেওয়ার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। প্রয়োজনে আবার অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।”

এ ঘটনায় আহত ইসলামের স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামকে রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রথমে পার্কভিউ হাসপাতাল থেকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।

মামুনের বন্ধু নিয়াজ মোর্শেদ জানান, “সে এখন ইশারায় যোগাযোগের চেষ্টা করছে। খুলির হাড় টুকরো হয়ে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল বলে জটিল অপারেশন করতে হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন অবস্থার উন্নতি হলে এক মাসের মধ্যেই খুলিটি পুনরায় বসানো সম্ভব।”

সায়েমের এক সহপাঠী বলেন, “৭২ ঘণ্টা চলে গেছে এখনো লাইফ সাপোর্টে আছে তবে আগের থেকে কন্ডিশন একটু ভালো। সিটি স্ক্যান থেকে যা জানা গেছে। তার অবস্থা দেখে আমাদের কারো মন স্থির থাকছে না। খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে সে, কখনো ঝামেলায় জড়াত না।”

গত ৩০ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটসংলগ্ন জোবরা এলাকায় এক ছাত্রী বাসার দারোয়ানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরদিনও কয়েক দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে, যাতে ৪২১ জন শিক্ষার্থী আহত হন।


এ জাতীয় আরো খবর...