ইংলিশ ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেস প্রথমবারের মতো ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ পেয়েও শেষ পর্যন্ত জায়গা হারাল। মালিকানা জটিলতার কারণে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ক্লাবটিকে ইউরোপা লিগ থেকে বাদ দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে তৃতীয় সারির টুর্নামেন্ট কনফারেনস লিগে।
ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন টেক্সটর, যিনি ক্রিস্টাল প্যালেসের পাশাপাশি ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের ক্লাব লিওঁর সঙ্গেও মালিকানা ভাগাভাগি করছেন। উয়েফার মাল্টি-ক্লাব মালিকানা নীতিমালা অনুযায়ী, একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন একাধিক ক্লাব একসঙ্গে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না, যদি ‘প্রভাবশালী মালিকানা’ প্রমাণিত হয়।
টেক্সটর অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি প্যালেসের ‘নিয়ন্ত্রণকারী মালিক’ নন এবং ক্লাবের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক জেটসের মালিক উডি জনসনের কাছে। কিন্তু উয়েফা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং লিগ ওয়ানে ষষ্ঠ স্থানে থাকা লিওঁকে ইউরোপা লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে।
ক্রিস্টাল প্যালেসের জন্য এটি ছিল ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় অভিষেক মৌসুম। ফুটবলে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত তাদের জন্য স্বপ্নের মতো হলেও ইউরোপা লিগে না খেলতে পারাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক নাটকীয় ধাক্কা।
স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, প্যালেস এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)-এ আপিল করবে। তবে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইউরোপা লিগে ফেরার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এদিকে ক্রিস্টাল প্যালেসের জায়গায় নটিংহ্যাম ফরেস্ট ইউরোপা লিগে সুযোগ পেতে পারে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। তবে উয়েফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
এই অনিশ্চয়তা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে প্যালেসের গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার পরিকল্পনায়। ইউরোপা লিগ খেলার আশ্বাস দিয়ে যেসব তারকা খেলোয়াড়কে দলে টানার চেষ্টা চলছিল, তাদের নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাঠের পারফরম্যান্স যতটা গুরুত্বপূর্ণ, মাঠের বাইরের সিদ্ধান্তও যে একটি ক্লাবের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে, ক্রিস্টাল প্যালেসের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। ইউরোপিয়ান ফুটবলে অভিষেকের মৌসুম হলেও, শুরুটা হয়েছে রীতিমতো নাটকীয় ও হতাশাজনক।