শিরোনামঃ
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার ভিপি নুরের ওপর হামলা: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাশেদ খান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রদায়িক উত্থানের কারণে মবের ঘটনা বাড়ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে: জি এম কাদের জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল, এজিএস ফেরদৌস ও মেঘলা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬৮ বার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

বর্তমান সময়ে মুখের ক্যানসার একটি গুরুতর ও প্রাণঘাতী রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এটি দ্রুত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবননাশের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা পেলে রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। দেশের মধ্যেই মুখের ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা বিদ্যমান।

কীভাবে চিনবেন মুখের ক্যানসার

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ক্যানসার শনাক্তের কিছু সহজ উপায় রয়েছে।

মুখের ভেতরে যে কোনো বর্ণের (সাদা বা লাল) ক্ষত বা ঘা, যা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তা ব্যথাযুক্ত হোক বা না হোক, অবহেলা করা যাবে না।

    • মুখের ভেতরে ফোলা দেখা দেওয়া,
    • স্থায়ী ব্যথা বা অবশভাব,
    • বাঁধানো দাঁত (ডেনচার) ঢিলে বা উঁচু হয়ে যাওয়া,
  • জিহ্বা নড়াতে অসুবিধা,
  • খাবার চিবানো বা গিলতে কষ্ট হওয়া এসবই ক্যান্সারের পূর্বলক্ষণ হতে পারে।
  • যদি এসব উপসর্গ দেখা দেয়, অবিলম্বে অনুমোদিত ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করানো উচিত। অপর্যাপ্ত সেবা বা অনুমোদনহীন চিকিৎসাকেন্দ্রে অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোগ নিরূপণ পদ্ধতি:

সন্দেহজনক ক্ষত বা ফোলাভাব দেখা দিলে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য ওই অংশের টিস্যু সংগ্রহ করে বায়োপসি করা হয়। পাশাপাশি সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এক্স-রে এবং প্রয়োজনে রেডিওলজি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের অবস্থান ও বিস্তৃতি নির্ধারণ করা হয়। রোগ নিশ্চিত হলে দেরি না করে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

চিকিৎসা পদ্ধতি:

মুখের ক্যানসারের মূল চিকিৎসা তিন প্রকার—

• সার্জারি (অস্ত্রোপচার)

• কেমোথেরাপি

• রেডিওথেরাপি

 

প্রাথমিক অবস্থায়, যখন টিউমার ছোট থাকে, সার্জারি সবচেয়ে কার্যকর। আর যদি ক্যানসার অনেক বড় হয়ে যায় বা সার্জারি সম্ভব না হয়, তখন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে বড় আকারের ক্যান্সারে সম্পূর্ণ আরোগ্য অনেক সময় সম্ভব হয় না।

চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার পরও রোগীর নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি, যাতে পুনরায় ক্যানসার দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।


এ জাতীয় আরো খবর...