শিরোনামঃ
সেই প্রাইভেট কারের ধাক্কায় আহত চার নারীর একজনের মৃত্যু গাজায় বোমা বর্ষন বাড়িয়েছে ইসরায়েল, প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফিলিস্তিনিরা সাবেক সার্জেন্ট মেজরের স্বীকারোক্তি: তার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে এক নারী সেনা আত্মহত্যা করেছিলেন চার্লি কার্কের স্ত্রীর আবেগঘন বার্তা: ‘আমি তোমার আদর্শকে কখনো মরতে দেব না’ আবু ধাবির নতুন ওয়েভ পুলে বিলাসিতার দৌড় : প্রত্যেক ঢেউতে $১৫০ পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা: আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল এক নজরে “লালনকন্যা” ফরিদা পারভীনের বর্ণাঢ্য জীবন ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদলের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১২ বার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে নৌ-ডাকাত দলের হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও পুলিশের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্য আহত হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ৫ থেকে ৬টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদীতে মহড়া শুরু করে নৌ-ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। ক্যাম্পের কাছাকাছি এসে প্রথমে ৪ থেকে ৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পরে ট্রলার থেকে পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে ডাকাত দলের সদস্যরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে প্রায় ১০০ রাউন্ড এবং পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে বিকেল পৌণে ছয়টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে চলে যায় হামলাকারীরা।

এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ রাতে বলেন, সন্ত্রাসীরা এখন পালিয়ে কয়েকজন নদীর মধ্যে কিছু এলাকায় অবস্থান করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা, তারা কিছুদিন আগেই লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। পুলিশও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আমাদের কোনো সদস্য আহত হননি।

বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, নৌ ডাকাতরা সম্ভবত চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে নদীতে নেমেছিল। পুলিশ থাকার কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কোন পুলিশ সদস্য আহত হয়নি। নৌ ডাকাতের মধ্যে কেউ আহত হয়েছে কিনা আপনারা খবর নিয়ে দেখেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামনে আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।’

প্রসঙ্গত, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্প্রতি চালু হয়েছে গুয়াগাছিয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পটি। মেঘনা পাড়ের এলাকায় প্রায়শই ডাকাতি ও জলদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে নয়ন-পিয়াস গ্রুপের বিরুদ্ধে।


এ জাতীয় আরো খবর...