যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালেও অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর থেকে শুরু হওয়া তীব্র হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এমনটি জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন যখন তারা মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন শিশু ও ৪ জন নারী রয়েছেন। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘মানুষ যখন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ায়, তখন তাদের হত্যা করা চরম নিষ্ঠুরতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় টানা সহায়তার অভাবে শিশুরা এখন অনাহারে আছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রতিদিন বাড়ছে।’
রাসেল ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে এই হামলার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।
এই ঘটনার পর হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাজায় চলমান এই হত্যাযজ্ঞ একটি ধারাবাহিক গণহত্যার অংশ। ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে স্কুল, রাস্তা, শরণার্থী শিবির ও বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এটি জাতিগত নিধনের ভয়াবহ রূপ।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় বর্বরোচিত হামলা শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন আহত হয়েছেন।