শিরোনামঃ
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি উপদেষ্টার শোক বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনীতি অবসানের অঙ্গীকার নবনির্বাচিত জাকসু ভিপির সিনেমা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাবাকে হত্যা, ছেলে গ্রেফতার ভিপি নুরের ওপর হামলা: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাশেদ খান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য: সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রদায়িক উত্থানের কারণে মবের ঘটনা বাড়ছে: গয়েশ্বর চন্দ্র অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে: জি এম কাদের জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল, এজিএস ফেরদৌস ও মেঘলা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

রাসূল (সা.) বলেছেন, আমার প্রশংসায় তোমরা অতিরঞ্জিত করবে না

ইনকিলাব / ৩৩ বার
প্রকাশ: শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক গতকাল জুমার বয়ানে বলেন, রবিউর আউয়ালের ডাকই হচ্ছে ঈমানে ডাক। রাসূল (সা.)-এর সীরাত কীভাবে আমাদের জীবনে আসতে পারে তার ফিকির করতে হবে। রাসূল (সা.) আদর্শকে অনুসরণ করতে পারলেই দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি। সীরাতুন্নবী সম্পর্কে মনগড়া কিছু বলা যাবে না। নবী করীম (সা.) সীরাত থেকে মার্কেটিং শিখতে হবে। একজন ক্রেতা-বিক্রেতার আচরণ কিরূপ হবে তা’ নবীর সীরাত থেকেই শিখতে হবে। খতিব বলেন, দেশে কত সংস্কার হচ্ছে। সংস্কার করতে হলে রাসূল (সা.) সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় মুসলিম উম্মাহর সংস্কার হবে না। খতিব বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের কথাটি সঠিক নয়; সীরাতুন্নবী কর্মসূচি পালন করতে হবে। আল্লাহপাক ঈদ বলতে বছরে দু’টি ঈদকেই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। খতিব বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল। তোমরা আমার প্রশংসা করতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করবে না। খতিব বলেন, আজকের সুন্দর সহিহ কোরআন তিলাওয়াত রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকেই এসেছে। পবিত্র কোরআনের প্রতিটি অক্ষরই আল্লাহর নেয়ামত। সহিহ শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে।

ঢাকার মুগদা রসুলবাগ ব্যাংক কলোনি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রাহমাতুল্লাহ তাকি বিন আব্দুল গনি গতকাল জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেছেন, মানুষের জীবন অনেক বাঁক, বিভ্রান্তি আর ভ্রান্তির দাওয়াতে ভরা। কখনো লোভ, কখনো হিংসা, আবার কখনো ভোগবিলাস মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যায়। এমন সময়ে সঠিক পথ চেনা এবং সে পথে অটল থাকা ভীষণ কঠিন। অথচ আল্লাহ মানবজাতিকে অন্ধকারে ফেলেননি; তিনি পাঠিয়েছেন হিদায়াতের আলো কুরআন ও তাঁর প্রিয় রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহের ওপর। এগুলোই মুক্তির দিশারি। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘রাসূল তোমাদেরকে যা কিছু দেন, তা গ্রহণ করো এবং তিনি যা কিছু থেকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহর প্রতি ভয়ও রেখো। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।’

(সূরা হাশর : ৭) খতিব বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আমি আপনাদেরকে গর্তের কিনারা থেকে বাধা দিচ্ছি যে কিছু থেকে আমি বিরত থাকতে বলি, তা থেকে বিরত থাকো। অনেক আঁকাবাঁকা রাস্তা রয়েছে, কিন্তু সরল পথই অনুসরণ করো। তোমরা অনেক মতবাদ দেখবে, তাই আমার পথ এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের পথ আঁকড়ে ধরো। যে আমার অনুসরণ করবে সে বিভ্রান্ত হবে না, আর যে অবাধ্য হবে সে অবশ্যই ভ্রান্ত হবে।’ (সহিহ বুখারী-৩০৩; সহিহ মুসলিম-১৭৩)

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে আমার সুন্নত থেকে বিচ্যুত হবে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে তা ত্যাগ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ মুসলিম) খতিব বলেন, আজকের এই ফেৎনা ও প্রলোভনে ভরা সময়ে ঈমান রক্ষা করতে হলে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপন অপরিহার্য। হক্কানী উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে চললে বিভ্রান্তি থেকে বাঁচা যায়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সরল পথই জান্নাতের নিশ্চয়তা রয়েছে। আল্লাহ সবাইকে সহি বুঝ দান করুন।(আমিন)

মীরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী গতকাল জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেন, নৃত্য পরিবেশন ও গানের শিক্ষক নয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আদর্শবান কুরআনের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া জরুরি। কারণ কুরআনি শিক্ষার মাধ্যমে কোমলমতি সন্তান-সন্ততি ও ছাত্র-ছাত্রীরা আদর্শ শিক্ষা লাভ করতে পারবে। কল্যাণময়ী চারিত্রিক শিক্ষা অর্জনে আদর্শ জীবন গড়বে। আদর্শবান সুনাগরিক তৈরি হবে। সন্তানরা ছোট থেকেই যদি আদর্শ ও চারিত্রিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাহলে সে বড় হয়ে মহামারী কাটাকাটি সন্ত্রাসী রাহাজানি দুর্নীতি ও দুশ্চারিত্রিক হয়ে উচ্ছৃঙ্খল, অনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করবে না বরং নিজে আদর্শ চরিত্রবান ব্যক্তিতে পরিণত হয়ে আদর্শ সমাজ গঠনের চেষ্টা করবে। এক সময় পুরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে সর্বপ্রকার অনিষ্টতা দূর হয়ে আদর্শ, শান্তিময়, সমৃদ্ধশালী ও নিরাপদ সমাজ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ইন শা-আল্লাহ।

খতিব বলেন, ভাবতে অবাক লাগে ৯০% মুসলমানের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ক বইটি অনেক স্থানে মুসলিম শিক্ষক শূন্যতার কারণে অমুসলিম হিন্দু শিক্ষক দিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত মাদরাসা পড়ুয়া লাখো আলেম-ওলামা শিক্ষক শিক্ষিকা থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ না দিয়ে নৃত্য পরিবেশন ও গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের সকলেরই স্মরণ রাখা উচিত দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখতে ইসলাম শিক্ষার বিকল্প নেই। আর বিশুদ্ধভাবে ইসলাম শিখতে হলে আদর্শবান ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষকদের মাধ্যমেই তা সম্ভব। তাছাড়াও প্রতিটি মুসলমানের জন্য ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, আর কেন তাদের মধ্যে একদল ইলিম শিক্ষার জন্য বের হয় না এবং যখন তারা বাড়ি ফিরে তাদের স্বগোত্রীয়দেরকে কেন সতর্ক করে না। (আল কোরআন)। হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ইলম শিক্ষা করা প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ। (মুসলিম শরীফ)। নবীজী (সা.) অন্য হাদিসের মধ্যে বর্ণনা করেন, আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। (আল হাদিস)। অতএব যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় সাবজেক্টি স্বীয় ধর্মে পা-িত্য অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ তথা শিক্ষক এর মাধ্যমেই শিক্ষাদান করার ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ তাওফীক দান করেন।


এ জাতীয় আরো খবর...