শেরপুর সদর উপজেলার তারাকান্দি এলাকার গণধর্ষণ মামলার আসামি মো. শামীম মিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। ২২ জুন রোববার সন্ধ্যায় সিপিসি-১, র্যাব-১৪ জামালপুরের একটি আভিযানিক দল জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামি মো. শামীম মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের প্রয়াত আলাল উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতার আসামিকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৪ এর দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর সদর থানায় বাদীর দেওয়া এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তারাকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামিরা বাড়িতে এসে প্রায়ই ভুক্তভোগীর সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য কু-প্রস্তাব দিত এবং অর্থের লোভ লালসা দেখাত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের বাদীর নিজ বসত ঘরে একই গ্রামের প্রয়াত এন্তাজ আলীর ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৪০), আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (৩২), প্রয়াত মাগন শেখের ছেলে মো. আফছর আলী (৫০) ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর দিন ভুক্তভোগী ওই নারী নিজে বাদী হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে শেরপুর সদর থানার ওসি একটি গণধর্ষণ মামলা এফআইআর করেন। এ ঘটনার পর সিপিসি-১, র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিনায়ক, র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের নির্দেশনায় সিপিসি-১, র্যাব-১৪ জামালপুরের একটি আভিযানিক দল ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার ২নং এজাহারনামীয় আসামি মো. শামীম মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।