রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

সাদা পাথর লুটে জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে: জনপ্রশাসন সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৯ বার
প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে শুধু লুট নয়, হরিলুট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোখলেস উর রহমান। তিনি সাদা পাথর পর্যটন স্পটকে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরায় আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘লুটের ঘটনায় যারা জড়িত, যত বড় দলের কিংবা প্রশাসনেরই হোক-কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে সাদা পাথর এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন। পরিদর্শনকালে সাদা পাথর এলাকা ঘুরে দেখে সচিব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি সাদা পাথর এলাকা ঘুরে দেখে। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন জনপ্রশাসন সচিব নিজে। সঙ্গে ছিলেন খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘সাদাপাথরসহ দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে বিশেষ প্যাকেজ কর্মসূচি নেওয়া হবে। পাশাপাশি এখানে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার আওতায় কঠোর নজরদারি থাকবে।’ তিনি সাদা পাথর পর্যটন স্পটকে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি অবৈধ পাথর উত্তোলন রোধে স্থায়ী নজরদারি জোরদারের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

সাদা পাথর লুটের ঘটনাটি সামনে আসার পর গত ২০ আগস্ট সাদা পাথর থেকে শতকোটি টাকার পাথর লুটের ঘটনা সামনে আসার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে দায়ীদের শনাক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কমিটি মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছে।

এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন স্পট ও রেলওয়ে বাংকার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও পর্যটন স্থানের নান্দনিকতা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার তদন্তের উদ্যোগ নেয়।


এ জাতীয় আরো খবর...