রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন

স্বর্ণ কেনার আগে জানতেই হবে যে ৬ প্রশ্নের উত্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৪ বার
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

প্রতি বছর লাখো পর্যটক ও প্রবাসী দুবাই থেকে স্বর্ণ কেনেন বিনিয়োগ বা উপহারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সঠিক প্রশ্ন না করলে অনেক সময় দামি এই কেনাকাটা হয়ে উঠতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলার কারণ। সেজন্যই স্বর্ণ কেনার আগে আপনাকে জানতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা আপনাকে রক্ষা করবে অতিরিক্ত খরচ, ভুল বোঝাবুঝি ও প্রতারণা থেকে।

দেইরা গোল্ড সুকের ঐতিহ্যবাহী দোকান থেকে শুরু করে দুবাই মলের বিলাসবহুল শোরুম, স্বর্ণ কেনা এখানকার জন্য শুধু সংস্কৃতির অংশই নয়, বরং একটি আর্থিক বিনিয়োগ হিসেবেও দেখা হয়। তাই যারা স্বর্ণ কিনতে যাচ্ছেন, তা গহনা হোক কিংবা বিনিয়োগের জন্য বুলিয়ন, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা কিছু সতর্কতা ও পরামর্শ দিয়েছেন।

কী কী প্রশ্ন করবেন স্বর্ণ কেনার আগে?

১. আজকের স্বর্ণের দর কত প্রতি গ্রামে?

বিক্রেতার কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি বর্তমান দিনের দরেই কিনছেন কিনা। পুরনো অথবা মনগড়া দরেই অনেক দোকানি বেশি দাম আদায় করে থাকেন।

২. গহনাটি কত ক্যারেটের? হলমার্ক দেখা যাবে?

বিশুদ্ধতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে হলমার্ক। ২২ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট, যাই হোক নিজ চোখে দেখে নিন।

 

৩. মেকিং চার্জ কত নিচ্ছেন?

গহনার জটিলতা অনুযায়ী এই চার্জ ওঠানামা করে এবং এটি আলোচনার মাধ্যমে কমানো যায়। সোজা ভাষায় জিজ্ঞেস করুন, কেন এত বেশি?

৪. পূর্ণাঙ্গ রসিদ ও সার্টিফিকেট কি পাওয়া যাবে?

রসিদে স্বর্ণের ক্যারেট, ওজন, দর, মেকিং চার্জ ও ভ্যাট স্পষ্টভাবে থাকতে হবে। যদি বিনিয়োগ হিসেবে কেনেন, তাহলে অথেনটিসিটি সার্টিফিকেট চাইতে ভুলবেন না।

৫. ফেরত বা বদল নীতিমালা কী?

বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য জানাটা জরুরি, আপনি কি দেশে ফেরার আগে পছন্দ না হলে ফেরত দিতে পারবেন? ক্রয়মূল্যের কত শতাংশ ফেরত পাবেন?

৬. অতিরিক্ত কোনো চার্জ বা কর আছে কি?

নগদে ছাড়, কার্ডে অতিরিক্ত চার্জ, পালিশ ফি, এসব অনেক সময় আগেভাগে বলা হয় না। পরিষ্কার করে জেনে নিন।

 

ক্রেতারা যেসব ভুল করেন

  • অনেকেই খুব সস্তা অফার দেখে আকৃষ্ট হন, অথচ দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম সরকারিভাবে নির্ধারিত এবং নিয়মিত আপডেট হয়। তাই ‘অতিরিক্ত সস্তা’ মানেই তা সন্দেহজনক।
  • স্বর্ণের দাম নয়, কেবল মেকিং চার্জ নিয়ে দরদাম করা যায়, এটা না জানার কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হন।
  • মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করে অনেকে পরে বিপাকে পড়েন। সব সময় লিখিত প্রমাণ রাখুন।
  • দেশের কাস্টমস নীতিমালা জানা জরুরি। যেমন, ভারতীয় ক্রেতারা নির্দিষ্ট সীমার বেশি স্বর্ণ আনলে শুল্ক দিতে হয়।

সঠিক তথ্য জানলেই সেরা অভিজ্ঞতা

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুবাইয়ে স্বর্ণের বাজার যেমন বিশ্বাসযোগ্য, তেমনি চতুর ক্রেতার জন্য এটি হতে পারে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ। তাই কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জেনে ও যাচাই করে তবেই কিনুন আপনার পছন্দের স্বর্ণের গহনা বা বার। এতে আপনি শুধু মূল্যবান ধাতু নয়, বরং নিশ্চিন্ত মনেও বাড়ি ফিরবেন।

 


এ জাতীয় আরো খবর...