ই ঋণগুলো, বিশেষ করে চীনা ঋণ, পাকিস্তানের কম রিজার্ভ শক্তিশালী করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শর্ত দিয়েছিল যে চলতি অর্থবছর শেষের সময় অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকতে হবে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ বেইলআউটের অধীনে চলমান সংস্কারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে।
এর আগে, ২০২৫ সালের ৯ মার্চ পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছিল যে চীন পাকিস্তানের ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ এক বছরের জন্য নবায়ন করেছে।
দ্য নিউজের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রায় ৯২ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা এবং আন্তর্জাতিক বন্ডের কাছে পাওনা রয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতাদের মধ্যে চীন শীর্ষে রয়েছে, যা পাকিস্তানের মোট বৈদেশিক ঋণ ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অংশীদার।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২০ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২.৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ৯.০৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
চীনের ঋণ নবায়ন এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বহুপাক্ষিক ঋণের নতুন অর্থায়ন পাকিস্তানের রিজার্ভকে আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য সহায়তা করবে বলে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন।