পুঁই শাক বাজারে সবসময়েই পাবেন। আর চিংড়ি এখন ভালই উঠেছে বাজারে। কুচো বা মাঝারি মাপের চিংড়ির সঙ্গে পুঁই শাকের মাখা মাখা চচ্চড়ি খেতে মন্দ লাগবে না। মেঘলা আকাশ, ঝিরঝিরে বৃষ্টির দিনে শুধুই কি খিচুড়িতে মন ভরে? এ দিকে কষা পাঁঠার মাংস বেশি খেলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়তে সময় লাগবে না। ভালমন্দ খেতে ইচ্ছা করলেও হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে ভালবাসেন না অনেকেই। বাড়িতে চিংড়ি মাছ থাকলে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় কিছু পদ। তবে চিংড়ির ঝাল বা মালাইকারি নয়, মা-ঠাকুরমাদের রেসিপিতে বানাতে পারে পুঁই চিংড়ি। পুঁইশাক বাজারে সব সময়েই পাবেন। আর চিংড়ি এখন ভালই উঠেছে বাজারে। কুচো বা মাঝারি মাপের চিংড়ির সঙ্গে পুঁইশাকের মাখা মাখা চচ্চড়ি খেতে মন্দ লাগবে না।
পুঁই চিংড়ি বানানো খুব সহজ। জেনে নিন রান্নার প্রণালী।
পুঁই চিংড়ি
উপকরণ
এক আঁটি পুঁইশাক
৩০০ গ্রাম চিংড়ি
২টি বড় আলু
৩০০ গ্রামের মতো কুমড়ো ছোট ছোট টুকরো করে কাটা
১ চামচ পাঁচফোড়ন
৩টি শুকনো লঙ্কা
১ চামচ হলুদ
দেড় চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
সর্ষের তেল
প্রণালী
পুঁই শাক কেটে ভাল করে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আলু ও কুমড়ো ডুমো করে কেটে একই রকম জলে ভিজিয়ে রাখুন। চিংড়ি ভাল করে ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে সর্ষের তেল দিয়ে তাতে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে নিন। মাছ ভাজার তেলেই আধ চা-চামচ পাঁচফোড়ন দিয়ে আঁচ কমিয়ে নাড়ুন। তাতে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে আলু ও কুমড়োর টুকরোগুলি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। এ বার পুঁই শাক জল ঝরিয়ে নিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিন। ভাল করে কষাতে হবে। স্বাদমতো নুন, হলুদ ও চিনি দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। শাক ও সব্জি সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে ভাজা চিংড়িগুলি দিয়ে দিন। নামানোর আগে উপরে সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।