রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন

১৫ হাজার কোটির পৈতৃক সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৪ বার
প্রকাশ: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভোপালে নবাব পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাইফ আলি খানের আপিল খারিজ করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার অভিনেতার পৈতৃক সম্পত্তিগুলিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। এর অর্থ এই সম্পত্তিগুলি এখন বিদেশী সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গত ২৫ বছর ধরে সইফ এই মামলা লড়ছিলেন। শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট।

২০১৪ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করেছিল যে ভোপালের শেষ নবাবের সম্পত্তি ১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’-এর অধীনে অধিগ্রহণ করা হবে। ২০১৫ সালে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেন সইফ। রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। ২০২৪ সালে ১৩ ডিসেম্বর সেই নির্দেশ তুলে নেয় হাই কোর্ট। এদিন সইফের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত বিস্তৃত সইফের সম্পত্তি। যেটির আনুমানিক বাজার দর ১৫ হাজার কোটি টাকা। ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। সইফ তাঁরই প্রপৌত্র। হামিদুল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে পতৌদিদেরই ছিল ভোপালের ওই সম্পত্তি। কিন্তু ১৯৬৮ সালে পাশ হয় ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ অনুযায়ী, ১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পর অনেক মানুষই পাকিস্তান ও চীনে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের জমি, বাড়ি এবং শেয়ারের মতো সম্পত্তি এখনও এ দেশে রয়ে গিয়েছে। সেই সম্পত্তিগুলোকেই ‘শত্রুর সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, স্থায়ী ভাবে পাকিস্তান ও চীনে চলে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তিতে তাঁদের বংশধরদের আর কোনও অধিকার থাকবে না। সরকার সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রিও করতে পারবে।


এ জাতীয় আরো খবর...