রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

মিটফোর্ডের ঘটনায় তারকাদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৬ বার
প্রকাশ: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে সোহাগ নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে। গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে ঘটে এই ঘটনা। এর দুই দিন পর, শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। এতে দেখা যায় একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে রাস্তায় ফেলে মাথায় ও বুকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এমনকি মৃত্যুর পর তার মরদেহের ওপর লাফিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায় হামলাকারীদের। সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই নেটিজেনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ ও শোক। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে সর্বস্তরের মানুষ। এ তালিকায় আছেন দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও।

জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন ফেসবুক পোস্টে লেখেন, চাঁদাবাজি, ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পার্সেন্টেজ যেই নামই দেয়া হোক না কেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো, সেটা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।

তিনি আরও লেখেন, এই ঘটনার ভিডিও ভবিষ্যতের শাসকদের জন্য এক লিটমাস টেস্ট হয়ে থাকবে। তারা কি চাঁদাবাজদের ক্ষমতায়িত করবেন, না কি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন? নিপুন প্রশ্ন তুলে বলেন,  “ঘটনার পর কি শুধু বলবেন, ‘অমুক সন্ত্রাসী আমার দলের নয়’? নাকি আইন ও ন্যায়ের শাসন নিশ্চিত করবেন? মানুষ আর যেন ‘রোগী মরিবার পরে ডাক্তার আসিলেন’ না দেখে, সে দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।”
নিপুন তার পোস্টে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং লেখেন, “সোহাগের হত্যাকারী মহিন ও তার বাহিনীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। বাঁধন শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে হত্যাকাণ্ডের একটি স্কেচ ছবি শেয়ার করে বাঁধন বলেন, এটা এক ধরনের ভয়াবহ ছবি। একজন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে আর চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই চুপচাপ দেখছে কেউ কিছু করছে না। কেউ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে? এটা কেমন দেশ?

সরকার ও প্রশাসনের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই অভিনেত্রী। বাঁধন বলেন, আর সরকার? সবসময়ের মতো নীরব। আমি কি এই দেশে নিরাপদ? সত্যিই কি আমি যা অনুভব করি সেটা বলার অনুমতি আছে? নাকি আমি কি পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হব—শুধুমাত্র সত্য বলার জন্য?

অভিনেতা খায়রুল বাসার লেখেন, আল্লাহর গজব পড়ুক তাদের ওপর, যারা মানুষ হয়ে মানুষ হতে পারেনি। যারা পশুত্বকেও লজ্জা দেয় এমন আচরণ করেছে। আল্লাহ এই দেশকে রক্ষা করুন কিছু ভালো মানুষের বরকতে। তিনি আরও লেখেন, এই দেশের মানুষ যেন অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারে। যেখানে অন্যায় হবে, সেখানে প্রতিবাদ করুন। নীরব না থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ান, সাহস দেখান, মানবতা দেখান। বারবার ব্যর্থ হলেও আইনের আশ্রয় নিন। একদিন পরিবর্তন আসবেই।


এ জাতীয় আরো খবর...