রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন

বিটকয়েনের ব্যাপক দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১২০ বার
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

রেকর্ড গড়ার পরদিনই ৩.৬ শতাংশ দরপতন হয়েছে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের। এতে করে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির মূল্য নেমে এসেছে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ ডলারে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বার্তাসংস্থা খবর আনদোলু জানায়, সোমবার সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্য স্পর্শ করার পর মঙ্গলবারই বিটকয়েনের দাম ৩.৫৭ শতাংশ কমে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির মূল্য গত সোমবার ১ লাখ ২৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেলেও পরদিন মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ৬টা নাগাদ) তা নেমে এসেছে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ ডলারে।

ক্রিপ্টো বিশ্লেষণ সংস্থা কয়েনমার্কেটক্যাপ–এর তথ্য অনুযায়ী, বিটকয়েনসহ বৈশ্বিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের মোট মূল্য গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩.৩৮ শতাংশ কমে এখন ৩.৬৭ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে, যা এটিকে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে। তালিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়ামের দামও মঙ্গলবার কমেছে। এর মূল্য ২.৪২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৮ ডলারে।

প্রসঙ্গত, বিটকয়েন বলে বাস্তবে কোনো মুদ্রা নেই। এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা। বিটকয়েন কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কিংবা কোনো সরকার বা ব্যাংকের তদারকি ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করে। একটি পাবলিক লেজারে বিটকয়েনের সব লেনদেনের রেকর্ড রাখা হয় এবং এই লেজারের কপি পুরো বিশ্বে হাজার হাজার সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। এগুলো পরিচিত নোড নামে।

বিটকয়েনের যেকেনও লেনদেন নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন নোডের মধ্যে তা শেয়ার করা হয়। বিটকয়েন কিনতে পাওয়া যায়। এই ক্রিপ্টো মুদ্রা মাইন করার যে শ্রমসাধ্য ও ব্যয়সাপেক্ষ কাজ, তার তুলনায় অনেকটা সহজেই যে কেউ বিটকয়েন কিনতে পারেন। এর কেনাবেচার জন্য রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ।

তবে বেশিরভাগ মানুষই একটি পুরো বিটকয়েন কিনতে পারেন না শুধু এর উচ্চ দামের কারণে। এছাড়া বিটকয়েনে বিনিয়োগ করাও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এর দাম খুব বেশি ওঠানামা করে।


এ জাতীয় আরো খবর...