ক্ষমতায় গেলে জনগণের মালিক না হয়ে সেবক হতে কাজ করবে জামায়াতে ইসলামী বলে তুলে ধরেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনটির জাতীয় সমাবেশে তিনি বলেন, একটি লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে, আবার আরেকটি লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ইনশাআল্লাহ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি প্লট গ্রহণ করবে না, ট্যাক্সবিহীন গাড়ি চড়বে না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবে না। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি নির্দিষ্ট কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে তার প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।
তিনি বলেন, চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না, সহ্যও করব না। এমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।
বক্তব্যে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে জামায়াত আমির বলেন, আমার আফসোস, যারা ২০২৪ সালে শহিদ হয়েছেন, আমি তাদের সঙ্গে শহিদ হতে পারিনি। আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আগামী দিনের ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে আল্লাহ যেন আমাকে শহিদের মর্যাদা দান করেন।
তিনি বলেন, আমি এখানে জামায়াতের আমির হিসেবে নয়, ১৮ কোটি মানুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। শিশুদের বন্ধু, যুবকদের ভাই, প্রবীণদের সহযোদ্ধা হয়ে এসেছি, এই জাতির মুক্তির প্রত্যয়ে।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে আসার পথে আমাদের তিন ভাই ইন্তেকাল করেছেন। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আল্লাহ তাদের জান্নাত দিন। পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দিন।
এসময় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বক্তব্য প্রদানকালে গরমের কারণে তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং মঞ্চে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি উঠে কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, এটি আল্লাহর ইচ্ছা। আবার অসুস্থ হয়ে পড়াটাও আল্লাহর পরীক্ষা। যতদিন হায়াত আছে, ততদিনই আমি লড়াই করে যাবো।
তিনি বলেন, যত অসুস্থতাই হই জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংগঠনের জন্য কাজ করে যাব। হায়াত-মওতের মালিক আল্লাহ। নেতাদের অনেকেই তাকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার অনুরোধ করেন। তবে তিনি বলেন, আল্লাহর যা ফায়সালা তাই হবে। এর বাইরে কিছু হবে না।