বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীতে হামলা মামলার আসামি ফেনীর যুবলীগ নেতা রিয়াদ মাহমুদ রাফি (৩৪) কে মঙ্গলবার আটক করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে পুলিশের উপর হামলার পরিকল্পনার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয় ছাত্র-জনতা।
রিয়াদ মাহমুদ রাফি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আবদুল নবী গ্রামের ভূঞা বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে ও দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক।
জুুলাই যোদ্ধা ও মামলার বাদী জামশেদ আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীতে হামলার ঘটনায় রিয়াদ মাহমুদ রাফি নেতৃত্ব দেন। হামলায় আমিসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় ১৫২ জনকে আসামী করে চলতি বছরের ২০ জুন ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। মামলায় যুবলীগ নেতা রিয়াদ মাহমুদ রাফি ১০৩ নাম্বার আসামী। গণঅভ্যুত্থানের পর সে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুলের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মঙ্গলবার ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার মেনে নিলেও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে উস্কানি দিয়ে রাফি পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় ছাত্ররা তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
দাগনভূঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, ঢাকার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার নামে ফেনী মডেল থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, রিয়াদ মাহমুদ রাফির নামে ফেনী মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে ফেনী আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।