রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জারিফ ফারহান (১৩) নামে আরও এক ছাত্র ও মাসুমা (৩৬) নামে ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, জারিফের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আর মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত ৫ দিন তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জারিফ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান এবং মায়ের নাম রাশেদা ইয়াসমিন।
এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে ও দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিক্ষার্থী—আইমান (১০) ও মাকিন (১৩)—মারা যায়। আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
শনিবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। এ দুর্ঘটনায় রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে প্রায় অর্ধশত এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৬ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একজন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (অজ্ঞাতনামা) এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।