শিরোনামঃ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন ফরিদপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক, মহাসড়কের প্রহরায় আনসার-পুলিশ খুনি হাসিনার এমন বিচার হবে, পৃথিবীর সব স্ট্যান্ডার্ড আইন তা মেনে নেবে: সারজিস আলম ইসরায়েলের বিপরীতে ইসলামি দেশগুলোর সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের আল-আকসার ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ পরিদর্শনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নেতানিয়াহু কাতারে হামলা: গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের স্বদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভেনেজুয়েলা যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩ গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় শ্রমিকের প্রাণহানি, আহত ৩
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

ঝুঁকি নিয়ে আহতদের সেবা দেওয়া চিকিৎসকরা ‘জুলাইয়ের নায়ক’

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৭ বার
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যুদ্ধের সময়ও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ হয় না- এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অথচ জুলাই বিপ্লবের দিনগুলোতে বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। আন্দোলনের সময় চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হুমকি চলেছে। তারপরও যারা আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তারাই জুলাইয়ের সত্যিকারের নায়ক। সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আহত আন্দোলনকারীদের সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের মানবিক অবদানের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনের সময় আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই বাধা ভেঙে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু চিকিৎসক। আপনারা এই জুলাইয়ের অন্যতম নায়ক। আপনারা এই জুলাইয়ের সাহস এবং দায়িত্ববোধের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এই দুঃসময়ে আপনারা যে সেবা দিয়েছেন তা আমরা কোনোদিন ভুলব না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার এ দেশের ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে যেন কোনো হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা না হয়। কিন্তু জুলাইয়ে আমাদের কিছু চিকিৎসক যোদ্ধাদের গল্প যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের সেবার গল্পকেও হার মানায়।

তিনি জানান, ছাত্রদের রাস্তায় পিটিয়ে আহত করার পর মেডিকেলেও তাদের উপর হামলা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের উপর নানা ধরনের হুমকি-ধামকি এসেছে, এমনকি তাদের চিকিৎসা কার্যক্রমেও বাধা দেওয়া হয়েছে। শত শত ছেলে-মেয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছে, যারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পায়নি। নির্দেশ ছিল, আন্দোলনে আহতদের কাউকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।

এই প্রেক্ষাপটেও যেসব চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, আপনারা নিজেরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন, তেমনি আপনাদের পরিবারগুলোও এক ধরনের আতঙ্ক ও ঝুঁকির মধ্যে ছিল। তবুও পাহাড়সম বাধা অতিক্রম করে মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, আহতদের জন্য রক্ত সংকট থাকলেও চিকিৎসকরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রক্ত সংগ্রহ করেছেন, ওষুধ সরবরাহ করেছেন, এমনকি রোগীর পরিচয় গোপন রাখতে ব্যবস্থাপত্রে অন্য নাম ও রোগ লিখে পুলিশের কাছ থেকে আড়াল করেছেন। অনেক প্রাইভেট চিকিৎসক নিজ উদ্যোগে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। আপনারা শুধু সেবা দেননি, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছেন।


এ জাতীয় আরো খবর...