জাতীয় ফল কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে ফল ও তরকারি হিসেবে কদর পেয়ে আসছে। ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন গুণাগুণে ঠাসা কাঁঠালের জুড়ি মেলা ভার। প্রোটিন, ভিটামিন, জিঙ্ক ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল গরমে শরীর সুস্থ রাখার পক্ষে একেবারে আদর্শ। কাঁঠালের বীজে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার থাকে। এ ধরনের ফাইবার বাওয়েল মুভমেন্ট বা অন্ত্রের কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনা করে। অদ্রবণীয় ফাইবারগুলোকে প্রিবায়োটিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় অর্থাৎ এ ফাইবার অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। এ ফাইবারগুলো ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ এবং হেমোরয়েডের লক্ষণ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী এই ফল খেতে অনেকেই ভালোবাসলেও বীজ ফেলে দেন। কিন্তু এমন না করাই ভালো। কারণ উপকারিতার মাপকাঠিতে মোটেই কম যায় না কাঁঠালের বীজ। বরং কাঁঠালের বীজগুলো ভালো করে ধুয়ে সংরক্ষণ করে রাখুন।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাঁঠালের বীজ রাখলে শরীরের আয়রনের মাত্রা বাড়বে। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। কাঁঠালের বীজ হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান। ফলে এটি খেলে রক্তস্বল্পতা দূরে হবে। আয়রন সুস্থ রাখবে আপনার মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রকে।
চীন ও ভারতে কাঁঠালের বীজ অ্যালকোহলের বিষক্রিয়া দূরীকরণের অ্যান্টিটোড প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠালের বীজে জ্যাকালিন নামের যেই গুরুত্বপূর্ণ ল্যাকটিন আছে, তা এইচআইভি আক্রান্তদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বীজে ক্যানসার প্রতিরোধক ক্ষমতাও রয়েছে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও কাঁঠালের বীজ বেশ উপকারী। কাঁঠালের বীজে থাকা ফাইবার ধমনি থেকে কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না। ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকলে প্রায়ই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কাঁঠালের বীজ।
প্রতিদিনের খাবারে কাঁঠালের বীজ রাখলে আপনার শরীরের আয়রনের মাত্রা বাড়বে। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। কাঁঠালের বীজ হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান। আয়রন সুস্থ রাখবে আপনার মস্তিষ্ক ও হার্টকেও।
কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এটি শিশুদের চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তুলতেও কাঁঠালের বীজ কার্যকরী। চোখের সমস্যা থাকলে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন।