অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে অশ্লীল সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ভারতের মালায়ালাম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্বেতা মেননের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এর্নাকুলাম সেন্ট্রাল পুলিশ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৯৫৬ সালের অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইনের ৫, ৩ এবং ২০০৩ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭(এ) ধারায় দায়ের করা হয়েছে মামলাটি।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অভিনেত্রী শ্বেতার বিরুদ্ধে এমন সময় মামলা হলো, যখন আগামী ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অ্যাসোসিয়েশন অব মালায়ালাম মুভি আর্টিস্টস (এএমএমএ) সংগঠনের সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে অভিনেত্রীর সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং এতে তিনি জয়ী হলে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো একজন নারী সভাপতি পাবে। এর আগে হেমা কমিটির প্রতিবেদনের পর অভিনেতা সিদ্দিক ও বাবুরাজ-সহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তৎকালীন সভাপতি মোহনলালের নেতৃত্বে এএমএমএ-এর পুরো কমিটি পদত্যাগ করে।
সমাজকর্মী মার্তিন মেনচারির দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিনেত্রী শ্বেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী অভিযোগ করেছেন যে, খ্যাতি অর্জনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রাপ্তবয়স্কদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কনটেন্ট ছড়িয়েছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবানের জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তারা মামলাটি তদন্ত করবে এবং অভিযোগগুলোর সত্যতা খতিয়ে দেখবে। এদিকে অভিনেত্রী শ্বেতা মামলাটি খারিজের জন্য কেরালা হাইকোর্টে উঠেছেন। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, তিনি এএমএমএ-এর সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং নির্বাচিত হলে সংগঠনটির প্রথম নারী সভাপতি হবেন তিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল ৩১ জুলাই। আর ওইদিনই অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধাচরণ করছে।
আবেদনে তিনি আরও জানিয়েছেন, যেসব সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন, সেসব যথাযথভাবে সেন্সর ও সার্টিফাইড এবং কয়েক বছর ধরে প্রচার হয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শ্বেতা কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারে দুইবার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। অধিকাংশ সময় মালায়ালাম ও হিন্দি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। ১৯৯৪ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া এশিয়া প্যাসিফিক নির্বাচিত হয়েছিলেন শ্বেতা মেনন।