গভর্নর জানান, নতুন বাংলাদেশ ব্যাংক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে আর্থিক খাত রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে এবং কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা দুর্বৃত্তায়ন হবে না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়বদ্ধতা বাড়াতে অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডারও প্রস্তুত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ সংশোধনের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের বিধান আনা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকলে বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব নয়, যদিও পাইপলাইনে কিছু বিনিয়োগ রয়েছে।’
নির্বাচন সামনে থাকায় বড় বিনিয়োগকারী আসার সম্ভাবনা কম বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গভর্নর আরও বলেন, ‘দেশের আর্থিক খাতে কোনো সঙ্কট নেই। বাজারে তারল্য বাড়লে শেয়ারবাজারও ঘুরে দাঁড়াবে। মূল্যস্ফীতি কমেছে, আরও কমাতে হবে।’
এসময় তিনি জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কারে ভেতরের ‘শত্রু’ দমন করা হয়েছে এবং এখন দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। গভর্নর বলেন, ‘টাকা ছাপাতে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। ক্যাশলেস ব্যবস্থা করলে এর পরিমাণ কমে আসবে।’
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষ গ্রামে ফেরত যাবে না। বস্তির মানুষকে হাউজিং ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। দেশে হাউজিং লোনের পরিমাণ মাত্র ৪ শতাংশ। হাউজিং লোন কমপক্ষে ২০ শতাংশে নিতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ডিজিটাল আর্থিক সেবায় যেতে হলে স্মার্টফোনের দাম ৬ থেকে ৭ হাজারে কমিয়ে আনতে হবে। কম দামে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করলে দ্রুত ক্যাশলেস অর্থনীতিতে যাওয়া সম্ভব। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা ও কর্মসংস্থান বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য। ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছি। ভারতের ১০ ভাগের এক ভাগও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয় না।’