বর্তমান সময়ে মুখের ক্যানসার একটি গুরুতর ও প্রাণঘাতী রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এটি দ্রুত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবননাশের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা পেলে রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। দেশের মধ্যেই মুখের ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা বিদ্যমান।
কীভাবে চিনবেন মুখের ক্যানসার
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ক্যানসার শনাক্তের কিছু সহজ উপায় রয়েছে।
মুখের ভেতরে যে কোনো বর্ণের (সাদা বা লাল) ক্ষত বা ঘা, যা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তা ব্যথাযুক্ত হোক বা না হোক, অবহেলা করা যাবে না।
রোগ নিরূপণ পদ্ধতি:
সন্দেহজনক ক্ষত বা ফোলাভাব দেখা দিলে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য ওই অংশের টিস্যু সংগ্রহ করে বায়োপসি করা হয়। পাশাপাশি সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এক্স-রে এবং প্রয়োজনে রেডিওলজি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের অবস্থান ও বিস্তৃতি নির্ধারণ করা হয়। রোগ নিশ্চিত হলে দেরি না করে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
চিকিৎসা পদ্ধতি:
মুখের ক্যানসারের মূল চিকিৎসা তিন প্রকার—
• সার্জারি (অস্ত্রোপচার)
• কেমোথেরাপি
• রেডিওথেরাপি
প্রাথমিক অবস্থায়, যখন টিউমার ছোট থাকে, সার্জারি সবচেয়ে কার্যকর। আর যদি ক্যানসার অনেক বড় হয়ে যায় বা সার্জারি সম্ভব না হয়, তখন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে বড় আকারের ক্যান্সারে সম্পূর্ণ আরোগ্য অনেক সময় সম্ভব হয় না।
চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার পরও রোগীর নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি, যাতে পুনরায় ক্যানসার দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।