মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের জন্য এআই-তে সুযোগ কোথায়

রেজওয়ান করিম / ১২৬ বার
প্রকাশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

বিশ্বের বড় কোম্পানি (যেমন OpenAI, Google, Anthropic) ইতিমধ্যেই ভিত্তিগত AI মডেল (foundation models) তৈরিতে এগিয়ে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের জন্য এআই-তে সুযোগ কোথায়। তবে আমাদের সামনে বড় সুযোগ রয়েছে AI অ্যাপ্লিকেশন ও ইন্টিগ্রেশন নিয়ে কাজ করার।

তিনটি ক্ষেত্রকে মূল ভরসা হিসেবে ধরা হয়েছে:

  1. Software-as-a-Service (SaaS):

    • ভারত Freshworks-এর মতো কোম্পানি দিয়ে দেখিয়েছে কীভাবে SaaS আন্তর্জাতিকভাবে সফল হতে পারে।

    • বাংলাদেশ থেকেও EzyCourse-এর মতো স্টার্টআপ প্রমাণ করেছে—আমরাও বৈশ্বিক SaaS বাজারে জায়গা করতে পারি।

    • গার্মেন্টস, লিগ্যাল সার্ভিস, কাস্টমার সার্ভিস—এসব ডোমেইনে স্থানীয় সমস্যা সমাধানভিত্তিক AI SaaS বানানো সম্ভব।

  2. AI-Integrated Hardware:

    • Xiaomi বা Tuya’র মতো কোম্পানি দেখিয়েছে কীভাবে স্মার্ট ডিভাইসে AI ব্যবহার করা যায়।

    • বাংলাদেশের RMG (গার্মেন্টস), কৃষি, হাসপাতাল, রিটেইল—এসব খাতেই AI-চালিত সেন্সর, কম্পিউটার ভিশন ও IoT ডিভাইস দিয়ে বিশাল পরিবর্তন আনা সম্ভব।

    • যেমন—সেলাইয়ের ভুল ধরা, মেশিন ভেঙে যাওয়ার আগে পূর্বাভাস, ঠান্ডা সংরক্ষণাগারে খাদ্য মান পর্যবেক্ষণ।

  3. Enterprise Adoption:

    • ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলো এখনো কাগজ নির্ভর। AI গ্রহণ করলে তাদের উৎপাদনশীলতা অনেক বাড়বে।

    • উদাহরণ: AI-ভিত্তিক ইনভেন্টরি সিস্টেমে স্টকআউট কমবে, সাপ্লাই চেইন ফোরকাস্টে ক্ষতি কমবে, কাস্টমার সার্ভিসে দক্ষতা বাড়বে।

    • সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে ব্যাপক প্রয়োগ সম্ভব।

👉 মূল বার্তা:
বাংলাদেশকে এখনই একটি জাতীয় কৌশল নিতে হবে—যাতে সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাত একসাথে SaaS, হার্ডওয়্যার ইন্টিগ্রেশন এবং এন্টারপ্রাইজ এআই এডপশন-এ কাজ করে। আমরা হয় এই ইন্টিগ্রেশন-ক্ষমতা এখন গড়ে তুলব, নইলে অন্যদের তৈরি সমাধান আমদানি করে নির্ভরশীল হয়ে পড়ব।


এ জাতীয় আরো খবর...