তিনি বলেন, ‘আমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আপসহীন।’ এছাড়া তিনি জানান, আজ সকালে তার বাসার সামনে মব সৃষ্টি করা হয়েছিল, তবে পুলিশ সময়মত তা প্রতিহত করেছে। ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘ফ্রান্স থেকে দুজন ইউটিউবার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
শোকজ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট সময়ে শোকজের উত্তর দেব। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’
প্রসঙ্গত, ফজলুর রহমানকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আপনি জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। মহিমান্বিত এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে। এমনকি আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন।
এতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চারশোর অধিক নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে আপনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরণের উদ্ভট ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেয়া হলো।