যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্বের ১১টি দেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে। বাকি দেশগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ অঙ্গীকার জানানো হয়।
রোহিঙ্গা সংকট জটিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের চলমান মানবিক সংকটের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
#𝐑𝐨𝐡𝐢𝐧𝐠𝐲𝐚 𝐜𝐫𝐢𝐬𝐢𝐬 – 𝐞𝐢𝐠𝐡𝐭 𝐲𝐞𝐚𝐫𝐬 𝐨𝐧!
𝐉𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐒𝐭𝐚𝐭𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐟𝐫𝐨𝐦
🇦🇺🇨🇦🇬🇧🇩🇰🇫🇷🇫🇮🇮🇹🇳🇱🇳🇴🇸🇪🇨🇭 pic.twitter.com/NAPWXdO52T— France in Bangladesh 🇫🇷🇪🇺 (@FRauBangladesh) August 25, 2025
দেশগুলো রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিনের সহনশীলতার প্রশংসা করে জানায়, তারা রাখাইনের অবনতিশীল নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতির মধ্যেও দৃঢ়তা দেখিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যারা নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদেরও আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে ফেরার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার মতো নয়। এ শর্ত পূরণে মূল কারণগুলো সমাধান করে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার গড়ে তোলা জরুরি।
বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়। সহিংসতা বন্ধ, মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা এবং অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেশগুলো দিয়েছে।
এ ছাড়া বিবৃতিতে তারা রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান এবং ভবিষ্যৎ প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণকেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে তারা বাংলাদেশে অবস্থানকালে নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারে। দেশগুলো জানায়, আট বছর পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে দৃঢ়ভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের পাশে আছে।