দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের নতুন অধ্যায় সূচনার পথে ভোলা জেলা। অন্তর্বর্তী সরকার ভোলায় চীনের ‘ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোন’ অনুমোদন দিয়েছে। এটির উন্নয়ন কাজ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
নতুন এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মূলত মৎস্য ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন এবং কৃষি-শিল্পভিত্তিক কারখানা স্থাপিত হবে। পর্যায়ক্রমে এখানে প্রায় ৪০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, যা লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
ভোলার অন্যতম বড় সুবিধা হচ্ছে গ্যাসের মজুত। শিল্পখাতের দীর্ঘদিনের সংকট গ্যাস-সংকট হলেও ভোলায় সেই সমস্যা নেই। পাশাপাশি কৃষি ও মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় এই অঞ্চলকে বিনিয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিনিয়োগের পরিমাণ: প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার
জমির পরিমাণ: ১০২.৪৬ একর (পর্যায়ক্রমে ১৫৮ একর পর্যন্ত সম্প্রসারণ)
শিল্পখাত: মৎস্য, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য ও কৃষি-শিল্প
কর্মসংস্থান: সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ মানুষ
বেজার নির্বাহী সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম জানান, ভোলা ইকো-ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক জোন বরিশাল বিভাগের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে শিল্পায়নের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
অন্যদিকে, লিজ ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝুয়াং লাইফেং বলেন, তারা একটি পরিবেশবান্ধব ও সার্কুলার ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। ভোলার গ্যাস ও কৃষিসম্পদ ব্যবহার করে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।
বেজা বিশ্বাস করে, ভোলা অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চল শুধু কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে এগিয়ে যাবে না, বরং বাংলাদেশ টেকসই শিল্পোন্নয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির নতুন সুযোগ পাবে।