বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার প্রথম প্রীতি ম্যাচটিতে কেউ জেতেনি। মানে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। প্রথমার্ধের শুরুর দিকে সফরকারীরা একবার বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়।
হামজা চৌধুরী, সামিত সোমের মতো তারকা ফুটবলার এই সফরে নেই। এছাড়া দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যেও দলের প্রায় ১০জন নিয়মিত মুখ নেই। শেখ মোরছালিন, মেহেদী হাজান জনিরা অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলছেন।
ফলে বাংলাদেশ সবশেষ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে যে ম্যাচটি খেলেছে, সেই ম্যাচের একাদশের সঙ্গে এদিনের একাদশ অনেকটাই বদলে যায়। নেপাল ঘরের মাঠে শুরু থেকে দাপুটে ভঙ্গিতে খেলছিল। পরে অবশ্য বাংলাদেশ মানিয়ে নেয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটা আদায় করতে পারেনি।
নেপালের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা এদিন ব্যর্থ করেছেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক সুজন হোসেন। মিতুল মারমার অসুস্থতায় এ ম্যাচ দিয়ে তার জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়। অভিষেকে তার যে পারফরম্যান্স, তাতে লেটার মার্কস তাকে দিতেই হয়।
২০২২ সালে এই মাঠেই নেপালের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই লড়াইয়ে ৩-১ গোলে হেরেছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে লড়াই রয়েছে বাংলাদেশের। সেই ম্যাচ দুটির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নেপাল সফর করছেন জামাল ভূঁইয়ারা। মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সফরের দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।