চার দফা দাবিতে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫৬৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটিতে গেছেন। এতে জেলার ছয় উপজেলায় জরুরি সেবা, লাইন মেরামত, মিটার সংযোগ, বিলিংসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো গ্রাহক। ঘটেছে সড়ক অবরোধের ঘটনা।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও সাব-স্টেশনে কর্মরত ৫৭৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৫৬৯ গণছুটিতে গেছেন। তার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ১১৭ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলা জোনাল অফিসে ৮৫ জনের মধ্যে ৭০ জন, দাগনভূঞা উপজেলা জোনাল অফিসে ৭৪ জনের মধ্যে ৬৭ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৪১ জনের মধ্যে ৩৯ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৪৯ জনের মধ্যে ৪৩ জন ও সোনাগাজীতে ৭৫ জনের মধ্যে ৬৮ জন গণছুটিতে রয়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলার কসকা জোনাল অফিসের এজিএম কামরুল হাসান বলেন, এ অফিসে ৪০ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৫ জন ছুটির আবেদন ফরম দিয়ে গণছুটিতে গেছেন। বাকি ৫ জন কর্মচারী দিয়ে ৩২ হাজার গ্রাহকের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সদর উপজেলা লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর ও মিরগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ সমস্যার কথা জানালেও জনবল না থাকায় সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, জেলার ছয় উপজেলার জোনাল অফিসসহ বিভিন্ন সাব-স্টেশন অফিসে কর্মরত ৫৭৯ জনের মধ্যে ৫৬৯ আবেদন ফরম জমা দিয়ে গণছুটিতে গেছেন। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে বর্তমানে ফুলগাজীতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মেরামত কাজে বিলম্ব হচ্ছে। গণছুটিতে যাওয়া কর্মীদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে কাজে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
কর্মরতদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তদের পুনর্বহাল, ২. অব্যবস্থাপনার অবসান, ৩. বদলির নামে হয়রানি বন্ধ, ৪. দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।